কীটনাশকের পরিবর্তে জমিতে ফাঁদ ব্যবহার করে সাশ্রয়ী হচ্ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক। তবে কৃষকদের অভিযোগ স্থানীয় দোকান মালিকের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে জমিতে ফাঁদ ব্যবহারের আগ্রহ বাড়লেও কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পাওয়া যায় না কোন পরামর্শ। আর কৃষি বিভাগ বলছেন, জমিতে ফাঁদ ব্যবহারে বিভিন্ন সময়ে দেয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে জেলায় আবাদকৃত মিষ্টি কুমড়া, করলা, লাউ, চিচিংগা, আমসহ বিভিন্ন সবজি ও ফলের বাগানে প্রায় ২২ হাজার পোকা দমনের ফাঁদ ব্যবহার করছে কৃষক। আর এ কারনে ১বিঘা জমিতে ১২-১৫ টাকার কীটনাষক প্রয়োগে খরচ কমে ৪শ টাকায় পোকা দমনে সক্ষম হচ্ছেন কৃষক। এতে কৃষক লাভবান হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষা থাকে বলে মনে করেন কৃষি বিভাগ।
সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের কৃষক, কমল কুমার সেন, আকবর আলী, সুকুমার জানান, পোকা মাকড়ের আক্রমণ দেখা দেয় সবচে' বেশি সবজি চাষে। আর সবজি চাষে কীটনাষক প্রয়োগও করতে হয় সবচেয়ে বেশি। এতে অনেক সময় ফলনের বিপর্যয় ঘটে। কিন্তু কীটনাষক ব্যবহারের পরিবর্তে যদি প্রত্যেক কৃষক ফাঁদ ব্যবহার করে তাহলে ফলন বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাবে। আর ওই ফল খেতে সুস্বাদু হয়। এই প্রদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা বেশ লাভবান হয়েছি। সে কারণে এ এলাকার সবজি চাষে প্রত্যেক কৃষক ফাঁদ ব্যবহার করছেন।
চলতি মৌসুমে জেলার সদর, রাণীশংকৈল, হরিপুর, বালিয়াডাঙ্গী, পীরগঞ্জ উপজেলায় ৫হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। আর আম ও লিচুর বাগান গড়ে উঠেছে ৮ হাজার ৮শ' হেক্টর জমিতে।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী জানান, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা কৃষকের কাছাকাছি পৌঁছানোর চেষ্টা করে। ওই ইউনিয়নের কৃষকরা যেহেতু অভিযোগ করেছেন কৃষি বিভাগের সহায়তা বা পরামর্শ পান না। আমি এ বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। আর কৃষকরা পোকা দমনে ফাঁদ ব্যবহার করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। আর আমরাও কৃষককে পরামর্শ প্রদান করছি কীটনাশক যেন ব্যবহার কম করেন। এ থেকে ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের কৃষক কৃষি জমিতে ফাঁদ ব্যবহারে আগ্রহ বাড়ছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৩ মে, ২০১৬/ আফরোজ