লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রথম স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলায় দ্বিতীয় বিয়ের আসর থেকে বর শফিকুল ইসলাম হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দেনায়েতপুর গ্রামের পোস্ট অফিস সংলগ্ন খোরশেদ আলমের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শফিকুল ইসলাম রায়পুর ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের চালতাতলী এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীন হাওলাদারের ছেলে।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দেবীপুর গ্রামের চালতাতলী এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীন হাওলাদারের ছেলে সৌদি প্রবাসী শফিকুল ইসলাম হাওলাদার প্রায় ১৮ বছর আগে মধুপুর গ্রামের আলী হায়দার ভুইয়ার মেয়ে নাজমা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের এক মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই প্রথম স্ত্রীকে তিনলাখ টাকা যৌতুকের জন্য প্রায়ই নির্যাতন করত। নিরুপায় হয়ে তিন বছর আগে প্রথম স্ত্রী তার সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। শফিকুলও বিদেশে পাড়ি দিয়ে স্ত্রী সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
গত একমাস আগে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে ঢাকায় তার স্বজনদের বাসায় থেকে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য পাত্রী খুজঁতে থাকে।
অবশেষে বৃহস্পতিবার তিনি দেনায়েতপুর গ্রামের পোস্ট অফিস সংলগ্ন খোরশেদ আলমের মেয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়।
এ ঘটনা জানতে পেরে নাজমা লক্ষ্মীপুর আদালতে শফিকুল ও তার মা আমেনা বেগমকে আসামি করে যৌতুক ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে শফিকুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
এর পরই রায়পুর থানার এসআই মোশারফ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বিয়ের আসর থেকে শফিকুলকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।
প্রথম স্ত্রী ও মামলার বাদী নাজমা বেগম বলেন, স্বামী সারা জীবন কষ্ট দিয়েছে। আমাদের মেয়েটি আজ বিবাহ উপযুক্ত। ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।
থানা হেফাজতে আটক শফিকুল বলেন, প্রথম স্ত্রী ব্যভিচারী। আমার সন্তানদের সে দূরে রেখে আনন্দে মত্ত ছিল। আমি এমন স্ত্রীর সংসার করতে চাই না। তাই দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি।
এসআই মোশারফ হোসেন বলেন, আদালতের আদেশে শফিকুলকে দ্বিতীয় বিয়ের আসর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ এস আহমেদ