খুলনার পাইকগাছায় সালমা বেগম নামে এক গৃহবধূ জোড়া লাগানো দুই শিশুর জন্ম দিয়েছেন। শুক্রবার বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে পৌর সদরের এক বেসরকারী ক্লিনিকে শিশু দু’টির জন্ম হয়। তবে জন্মের আড়াই ঘন্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু দু’টির মৃত্যু হয় বলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
এদিকে এ ধরনের শিশুর জন্মের খবরে ঐ ক্লিনিকে শত শত উৎসুক জনতা ভীড় জমায়। এ ধরনের শিশুর জন্মের খবর বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও টিভিতে দেখে থাকলেও এবারই প্রথম স্বচক্ষে এ ধরনের শিশু দেখে হতভম্ব হয়ে যান অনেকেই।
জানা গেছে, উপজেলার বান্দিকাটি গ্রামের রাশেদ জোয়াদ্দারের সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী সালমা বেগম (২২) কে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে পৌর সদরের সরলস্থ শাপলা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
পরে ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ বিপিন বিহারী সরকারের সফল অপারেশনে গৃহবধূর গর্ভে জোড়া লাগানো ঐ দুই শিশু পুত্রের জন্ম হয়।
ক্লিনিকের পরিচালক ডাঃ তাপস কুমার মিস্ত্রী জানান-প্রায় আধা ঘন্টার সফল অপারেশন শেষে গৃহবধূ সালমা বেগমের গর্ভে ঐ শিশুর জন্ম হয়। তবে জন্মের আড়াই ঘন্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
তিনি জানান শিশু দু’টির গলার নিচ থেকে নাভির উপর পর্যন্ত সম্পূর্ণ বুক জোড়া লাগানো ছিল। তবে দুটি মাথা, ৪টি হাত ও ৪টি পা পৃথক ছিল। এ ধরনের শিশুদের ক্ষেত্রে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। স্থানীয়ভাবে এলাকায় তেমন কোন ব্যবস্থা নাই, অপরদিকে রোগীর স্বজনরা গরীব ছিল। সেক্ষেত্রে চিকিৎসার উন্নত ব্যবস্থা হলে হয়তো আরো কিছুটা সময় শিশু দু’টির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ছিল।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মুহাম্মদ কওছার আলী গাজী জানান-জন্মগতভাবে ত্রুটি ও বিভিন্ন কারনে এ ধরনের শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। এ ধরনের শিশুদেরকে কনজয়েন্ট টু-ইন বলা হয়ে থাকে। উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকলে কিছু কিছু বাঁচানো সম্ভব হলেও এ ধরনের শিশুদের ক্ষেত্রে অধিকাংশই মারা যায় বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/ ১৪ মে ২০১৬/ হিমেল-১০