_.jpg)
সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের পশুর নদী ও হারবাড়ীয়া এলাকার পাঙ্গাশিয়া খাল থেকে অবৈধভাবে মাছ ও চিংড়ীর রেনু পোনা আহরণের অভিযোগে ৬ জেলেকে আটক করেছে বন বিভাগ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরের পর দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সুন্দরবনে মার্চ ও এপ্রিল মাসে ৪ দফা নাশকতার অগুনে বন পুড়ে ছাই হবার পর এই সংরক্ষিত বনের পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জের সব ধরনের সম্পদ আহরণের পাস পারমিট বন্ধ করে দেয় বন বিভাগ।
শুক্রবার সকালে মংলার পশুর নদী থেকে বন প্রহরীরা একটি ফিশিং ট্রলার থেকে ৫ জন ও হারবাড়িয়ার পাঙ্গাশিয়া খাল থেকে স্মার্ট পেট্রোলিংয়ের প্রশিক্ষণ চলাকালে এসিএফ আবু নাসের একটি নৌকাসহ চিংড়ীর রেনু পোনা আহরণকালে একজনকে আটক করেছে। এসময় ওই ট্রলার ও নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রায় সাড়ে ৪ মণ বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ির রেনু পোনা ও সাদা মাছ জব্দ করা হয়।
আটকৃতরা হলেন বাগেরহাটের মংলা উপজেলার জয়মনি এলাকার সেকেন্দর গাজীর ছেলে নজরুল গাজী, বরগুনা জেলার তালতলি উপজেলার সকিনা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে জাফর পেয়াদা, উত্তর জারাখালী গ্রামের হযরত আলীর ছেলে নাসির, নিন্দ্রারচর গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে দুলাল, ছোট আমখোলা গ্রামের মোস্তফার ছেলে আবুল ফজল ও খুলনার নতুনবাজার এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে মোস্তাফা শেখ। আটক জেলেদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরের পর শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ২৭ মার্চ, ১৩ এপ্রিল, ১৮ এপ্রিল ও ২৭ এপ্রিল পূর্ব সুন্দরবনের চাদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশন এলাকায় ৪ বার দস্যুরা পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে বন পুড়িয়ে দেয়। এঘটনায় ২৭ এপ্রিল পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জের সব ধরনের সম্পদ আহরণের পাস পারমিট বন্ধ করে দেয় বন বিভাগ। এরপরও দুর্বৃত্তরা অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করে মাছসহ চিংড়ীর রেনু পোনা আহরনের অপতৎরতা চালাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডের সাথে সুন্দরবন বিভাগের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধের কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এই বন কর্মকর্তা।
বিডি-প্রতিদিন/০৩ জুন, ২০১৬/মাহবুব
