অবশেষে যাতায়াতে দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে যাচ্ছে বগুড়া সদরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। চলাচলের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধান হওয়ার পথে। কাঁচা রাস্তা, ধুলোমাখা অথবা কর্দমাক্ত রাস্তায় আর চলাচল করতে হবে না উপজেলার ৯ এলাকার মানুষকে। নতুন করে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগে নেয়ায় প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে দুর্ভোগ পোহানো মানুষগুলোর। খুব শীঘ্রই রাস্তাগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
বগুড়া সদরের ৯টি এলাকার মানুষ যোগাযোগের ক্ষেত্রে আলোর মুখ দেখতে পাচ্ছে। দীর্ঘদিনের কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ, অনুন্নত সড়ক পাকাকরণসহ জেলা শহরের সাথে সহজে যোগাযোগ করার জন্য ৯টি রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে বগুড়া সদর উপজেলায়। ৯টি রাস্তার মোট ব্যায় ধরা হয়েছে সাড়ে ৪ কোটি টাকা। সময়মত সড়কগুলো নির্মাণ হলে ৯টি সড়কে চলাচলকারি মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।
চলতি বছরের মার্চ মাসে সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওমর ৯টি রাস্তার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন এবং রাস্তার নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বগুড়ার ভাটকান্দি এলাকার আব্দুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়ির সামনের সড়কটি কাঁচা ছিল। বর্ষাকালে বাড়ি থেকে বের হওয়া যায় না। সারা বছর ধুলা উড়ে। এবার সড়কটির উন্নয়ন ও পাকাকরণ হচ্ছে। রাস্তাটি দ্রুত নির্মাণ হলে এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ জেলা শহরের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করতে পারবে।
বগুড়া শহরের দক্ষিণ নাটাই পাড়ার মো. আলমগীর জানান, সড়কের কাজ শুরু হয়েছে। এ সড়ক নির্মাণের মধ্যে দিয়ে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে। মাটির রাস্তায় চলাচল করা কষ্টসাধ্য ছিল। এখন রাস্তাটির পাকাকরণে এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ চলাচলে সুবিধা ভোগ করবে।
বগুড়া সদর উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জিন্না জানান, ৯টি রাস্তার উন্নয়ন কাজ এলজিইডি বগুড়া বাস্তবায়ন করছে। মোট ৭ হাজার ৮২৫ মিটার সড়ক উন্নয়ন হচ্ছে। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওমর এর বিশেষ বরাদ্দ থেকে কাজটি হচ্ছে। ইতিমধ্যে সবকটি সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। ৯টি সড়কের কাজই খুব শীঘ্রই শেষ হবে। এতে করে এ অঞ্চলের মানুষের সাথে শহরের যোগাযোগ সহজ হবে।
বগুড়া সদর আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও বিরোধিদলীয় হুইপ নুরুল ইসলাম ওমর জানান, বগুড়া সদর উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সদরের সকল রাস্তা মেরামতসহ নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হবে। সদর উপজেলায় কোনো রাস্তা কাঁচা থাকবে না। এজন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/৯ জুন ২০১৬/শরীফ
