দিনাজপুরের হাকিমপুরে পুকুরের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের হামলায় মো. বদিউজ্জামান সুজন (৩০) নামের এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার গুরুতর আহত হয়েছেন স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বোয়ালদাড় ইউনিয়নের বৈগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজন বোয়ালদাড় ইউনিয়নের বৈগ্রামের বাসিন্দা সেলিম উদ্দিন সরদারের ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।
বোয়ালদাড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. মেফতাফুল জান্নাত জানান, বৈগ্রামে একটি পুকুর নিয়ে স্থানীয় বৈগ্রাম যুব সংঘ এবং একই গ্রামের মো. সফিকুল ইসলামের ছেলে মো. রবিউল ইসলামের পরিবারের সাথে মালিকানা নিয়ে বিবাদ চলছিল। শনিবার সকালে ক্লাবের সদস্যরা পুকুরটিতে মাছ চাষ করার জন্য কচুরিপানা পরিষ্কার করতে যায়। মো. রবিউল ইসলাম এ সময় বাধা দিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে বদিউজ্জামান সুজন গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে হাকিমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে, সুজনকে বাঁচাতে গিয়ে হামলায় মাসুদ নামে এক স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হাকিমপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুস সবুর জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পর হামলাকারী রবিউলের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব