পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি চালককে বহিরাগতদের মারপিটের প্রতিবাদে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার ১১ টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে এই কর্মসূচি পালন করে। এ সময় রাস্তার দুই পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আওয়াল কবির জয় জানান, গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী বাসে কয়েকজন বহিরাগতরা ওঠার চেষ্টাকালে বাধা দেয় বাসের চালক ও হেলপার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বহিরাগতরা বাস চালক আব্দুর রহিমকে ব্যাপক মারপিট করে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার পাবনা সদর থানায় পাবনা সরকারী শহীদ বুলবুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা সোহান এর নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে এরই প্রতিবাদে তারা ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লোকজন চলাচল করে। কিছু বললেই তারা আমাদের উপর চড়াও হয়। বুধবার কয়েকজন বহিরাগতরা ছাত্রীদের একটি বাসে ওঠার চেষ্টা করলে বাস চালক ও হেলপার বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাস চালককে মারপিট করে। কিছুদিন আগে আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও একই ভাবে তারা মারপিট করেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ব্যবহার যাতে না করতে পারে তারই প্রতিবাদে আমাদের এই কর্মসূচি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাস চালককে মারপিটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। পুলিশ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাধারণ শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিলে তারা মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ জুলাই, ২০১৬/ আফরোজ