মানিকগঞ্জে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। হঠাৎ বন্যায় বাড়িঘর, ফসলাদির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠায় জেলায় শিক্ষা কার্যক্রম দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া বন্যায় ভেসে গেছে শত শত পুকুরের মাছ এবং জমির উঠতি সবজি । গো-খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে চরমভাবে। হঠাৎ করে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উঁচু অঞ্চলের জমিতে সবজির ক্ষেতে পানি ওঠে। এতে নষ্ট হয়ে যায় আবাদি সবজি। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন এই এলাকার সবজি চাষীরা। বেশ কয়েক বছর ধরে মানিকগঞ্জের ফসলী জমিতে বর্ষার পানি তেমন ওঠেনি। বিশেষ করে উঁচু অঞ্চলে বর্ষার পানি না ওঠায় জেলার কৃষকরা সারা বছর নানা জাতের সবজি চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়ে থাকেন। সেই আশায় এবারও জেলার কৃষকরা এ মৌসুমে কুমড়া, শশা, ঝিঙে, ঢেঁড়শ, করলা, মরিচ, পেঁপে চাষ করেছিলেন। ফলনও হচ্ছিল বেশ ভাল। কোন কোন সবজি কেবলই উঠা শুরু হয়েছিল। এরই মধ্যে হঠাৎ বন্যার পানিতে ডুবে যায় বেশিরভাগ সবজি ক্ষেত। অনেক কৃষক আছেন যারা সবজি চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। অনেক টাকা ব্যায় করে লাভের আশায় সবজি চাষ করেছিলেন কিন্তু বন্যায় সব সবজি নষ্ট হয়ে যায়।এবার মহা বিপাকে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত সবজি চাষীরা। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যনুসারে জেলার ৬টি উপজেলায় এ মৌসুমে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। বন্যার পানিতে অধিকাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবজি চাষী মো. বিরাজ উদ্দিন, নিয়ামত আলী, আখ চাষী আব্দুল মালেক জানান কৃষি কাজ করেই তারা খুব ভাল ছিলেন কিন্তু এবার বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা কঠিন হবে। মহা বিপাকে পড়েছেন গবাদি পশু পালনকারীরা। বিশেষ করে কুরবানী ঈদকে সামনে রেখে যারা গরু পালন করেন তারা গো-খাদ্যের অভাবে গরু বিক্রিতে লাভের আশা ছেড়ে দিয়েছেন। অনেকে উঁচু এলাকা থেকে বেশি দামে খড় ক্রয় করে গরুকে খাওয়াচ্ছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ জুলাই, ২০১৬/ আফরোজ