জিআরপি পুলিশের নির্যাতনে জামালপুরের চাঞ্চল্যকর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর বারিকের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। শনিবার দুপুরে জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রা এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জিআরপি পুলিশের নির্যাতনে ১১ জুলাই জামালপুর শহরের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারিক মারা যায়। এই ঘটনায় জিআরপি থানায় ৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের হলে পুলিশ রেলওয়ের টিকেট কালেক্টর আনিসুর রহমানকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার দেড় মাসের বেশী সময় অতিবাহিত হলেও মামলার মূল আসামি জিআরপি থানার সাবেক ওসি গৌর চন্দ্র মজুমদারসহ অভিযুক্ত অন্য তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি। উপরন্তু হত্যা মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রভাবশালী মহল থেকে বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হুমকী দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে দোষী পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন নিহত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মিজানুর রহমান মুকুল।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারিকের স্ত্রী মমতাজ বেগম, ভাই কাউছার ও পৌর কাউন্সিলর খন্দকার মোজাহারুল ইসলাম শামীম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা হত্যার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাসেল সাবরিনকে আহবায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত এই কমিটি তদন্ত কাজ শেষ করেনি। জেলা প্রশাসক মো: শাহাবুদ্দিন খান জানিয়েছেন তদন্ত কমিটি আরও সময় চেয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২০ আগস্ট ২০১৬/হিমেল-১৭