পঞ্চগড়ে পরকীয়ার জের ধরে এক গৃহবধূকে হত্যা চেষ্টায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নির্যাতিত গৃহবধূকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার সকালে সদর উপজেলার হাড়িভাষা দেবিযাদু গ্রামের আব্দুর রহিমের বাড়ি থেকে আহত রোজিনাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ৫ জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায় দেবীজাদু গ্রামের আজিজার রহমান এর স্ত্রী রোজিনার (২৫) সাথে একই গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে আব্দুর রহিম পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। গত ১৭ আগস্ট বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পাশ্ববর্তি কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের মাছপাড়া গ্রামের এক পরিচিতের বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। ঐদিন সন্ধ্যায় রোজিনা বিয়ের দাবি নিয়ে আব্দুর রহিমের বাড়িতে যায় এবং অবস্থান করতে থাকে। গত কয়েকদিন ধরে নির্যাতন চালানোর পর আব্দুর রহিম সহ পরিবারের সদস্যরা শনিবার সকালে রোজিনাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করলে রোজিনার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে। তারা আব্দুর রহিমের বাড়ি ঘেড়াও করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় গিয়ে রেজিনাকে মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে। ঘটনা স্থল থেকে ৫ জনকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন দেবীযাদু প্রধান পাড়া গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে রোজিনার প্রেমিক আব্দুর রহিমের বাবা মোবারক আলী (৬৫), আবদুর রহিমের স্ত্রী হাসনা বেগম(৪০), বোন ফরিদা খাতুন (২৫)ও সুরভী আক্তার (২২) এবং ভগ্নিপতি সাতমেড়া ইউনিয়নের পাখিলাগা গ্রামের মৃত সহিরউদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহিম (৫০)।
হাড়িভাষা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য পারভীন আক্তার জানান শনিবার সকালে খবর পেয়ে আবদুর রহিমের বাড়িতে গিয়ে দেখি রোজিনাকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে একটি গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। আমি তার গলার ফাঁস খুলে দেই। এসময় এলাকাবাসী আব্দুর রহিমের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মমিনুল ইসলাম জানায় রোজিনাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ ২০ আগস্ট ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন