নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের পিতলগঞ্জ এলাকায় প্রেমের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছে দুই কিশোর-কিশোরী। এ ঘটনায় কিশোরীর পরিবার থেকে অপহরণ মামলা দেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় রবিবার দুপুরে পিতলগঞ্জ এলাকা থেকেই বিয়ে করা কিশোর-কিশোরীকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পিতলগঞ্জ এলাকার মানিক মিয়ার কলেজ পড়ুয়া ছেলে সজল মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার রোমান মিয়ার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে নাসরিন ওরফে নিহার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পিতলগঞ্জ এলাকার আব্দুল হক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী নাসরিন ওরফে নিহা ও একাদশ শ্রেণির ছাত্র সজল মিয়া। গত ৫ মাস আগে উভয় পরিবারের অজান্তে তারা বিয়ে করেন।
৫ আগস্ট সকালে কোচিংয়ের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নাসরিন ওরফে নিহা ও সজল মিয়া আর ফেরেনি। পরে বিয়ে করার বিষয়টি নিশ্চিত হন পরিবারের সদস্যরা। বিয়ের ব্যাপারটি জানাজানি হলে তারা ঘর-সংসার করতে শুরু করেন। এছাড়া ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্থানীয়ভাবে তাদের দুই পরিবারকে মিলিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে, নাসরিন ওরফে নিহার মা নুর জাহান বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা দায়েরের পর নাসরিন ও সজলকে আটক করে পুলিশ।
সজল মিয়ার পিতা মানিক মিয়া জানান, পালিয়ে বিয়ে করার পর উভয় পরিবারের পক্ষ থেকে মেনে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মানিক মিয়ার বাড়িতেই ছেলে ও ছেলের বউ ঘর-সংসার করছিল। অযথা হয়রানি করতেই আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন তারা।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ