লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট এলাকায় ধরলা নদীর অব্যহত ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে শনিবার সকালে ধরলা অববাহিকায় অবস্থিত ২৩টি চরের হাজারো বাস্তুহারা মানুষ নদীর তীরে সৃষ্টিকর্তার কৃপা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেছে। এর আগে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরও সাতটি চরের কয়েকশ' মানুষ এ মোনাজাতের আয়োজন করে।
স্থানীয়রা জানান, গত এক মাসে ধরলার অব্যাহত ভাঙনে ওই এলাকার সহস্রাধিক পরিবারের বসতবাড়ি ও আবাদী জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রথম দিকে ভাঙন রোধে কিছু জিও ব্যাগ ফেললেও তা আবার বন্ধ করে দেয়। নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো ওই এলাকার ওয়াপদা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভিটেমাটিহারা মানুষগুলো অর্ধাহারে, অনাহারে মানবেতর দিন যাপন করছে। নদী ভাঙন রোধে সরকারের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় শেষ ভরসা হিসেবে সৃষ্টিকর্তার রহমত কামনা করেছেন।
বিশেষ মোনাজাত শেষে এলাকাবাসী সাংবাদিকদের বলেন, আল্লাহর কাছে নালিশ জানানো ছাড়া আমাদের আর কী করার আছে? চলতি বন্যায় ধরলা প্রায় হাজারেরও বেশি পরিবারের লোকজনকে ভিটেমাটি ছাড়া করেছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
কুলাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বলেন, শুধু ঈদ নয়, কোন উৎসবই নদীভাঙা মানুষগুলোর জন্য আনন্দ বয়ে আনে না। গৃহহারা মানুষগুলো তাই সৃষ্টিকর্তার কাছেই প্রতিকার চেয়ে মোনাজাতে অংশ নিয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ