বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন আখ্যা দিয়ে ১০ দিন ধরে শিকল দিয়ে বেঁধে ঘরে আটকে রাখা প্রবাসীর স্ত্রী ময়না বৈদ্যকে আজ শিকল মুক্ত করেছে পুলিশ। ময়না একই উপজেলার বড় বাশাইল গ্রামের দুবাই প্রবাসী বাবুল বৈদ্যর স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী।
গৃহবধূ ময়না বৈদ্য জানান, দুবাই থেকে তার স্বামী যে টাকা পাঠায়, তা তার ভাসুর বিপুল বৈদ্য ও শাশুড়ি গোলাপী রানী আত্মসাৎ করার জন্য তাকে (ময়না) পাগল বলে প্রচার চালাচ্ছে। এমনকি তার ব্যবহৃত স্বর্ণালংকারও আত্মসাৎ করে তারা। স্বামীর পাঠানো টাকা না দেয়ায় বাশাইল হাট ঝাড় দিয়ে যে টাকা পান, তা দিয়ে দুই শিশু সন্তানসহ নিজের খরচ মেটান তিনি। সংসার চালাতে কষ্ট হওয়ায় স্বামীর পাঠানো টাকা চাইতে গেলে গত ১০ দিন আগে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে খাবার না দিয়ে অমানবিক আচরণ করেন ভাসুর ও শাশুড়ি। এ সময় এক চিকিৎসককে দিয়ে জোর করে তাকে ইনজেকশনও দেয়া হয়।
অভিযুক্ত বিপুল বৈদ্য জানান, ময়না একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে চিকিৎসার জন্য শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছে। তবে কোন চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন তা জানতে চাইলে তিনি ওই চিকিৎকের নাম বা তার কোন ব্যবস্থাপত্র দেখাতে পারেননি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে ময়নাকে শিকল মুক্ত করা আগৈলঝাড়া থানার এসআই শাহ্ জালাল জানান, ময়নাকে মুক্ত করে চিকিৎসার জন্য ওই পরিবারের সদস্যদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ময়না অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার