নেত্রকোনার দূর্গাপুরে স্বোমেস্বরী নদীর বালু ঘাটের ডাইভার্সন সড়কের আধিপত্য নিয়ে নাজিরপুর মোড়ে যুবলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলিও বর্ষণ করা হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তবে গুলিতে কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় পরপরই পৌর যুবলীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম মড়ল আহত হওয়ায় তার কর্মী সমর্থকরা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করলে শহরে থমথমে অবস্থার সৃষ্টি হয়। ভয়ে আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যাবসায়ীরা।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষাদর্শী সূত্রে জানা গেছে, স্বোমেস্বরী নদীর বালু ঘাটের ডাইভার্সন সড়কের কাজের অধিপত্য নিয়ে পৌর যুবলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম মড়ল এবং পৌর মেয়রের ভাতিজা যুবলীগ নেতা মাজাহারুল ইসলামের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এরই জের ধরে সোমবার বিকালে উভয় পক্ষ অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহড়া দিতে থাকে। পরে সন্ধ্যায় দূর্গাপুর পৌর শহরের নাজিরপুর মোড়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সৃষ্ট সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৫ জন আহত হন। এসময় কোন একটি পক্ষ ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছুড়ে।
সংঘর্ষে পৌর যুবলীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম মড়ল ও তার সমর্থক রিপন, হযরত এবং যুবলীগ নেতা বর্তমান মেয়রের ভাতিজা মাজাহারুল ইসলামসহ ৫ জন আহত হন। আহতরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
এ ঘটনার পরপরই নজরুলের পক্ষের সমর্থকরা পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। এসময় থমথমে অবস্থার সৃষ্টি হলে বাজারের দোকানপাট বন্ধ করে দেন দোকানীরা। এ ব্যাপারে দূর্গাপুর থানার ওসি হুমায়ূনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।
তবে নেত্রকোনা পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী সংঘর্ষের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গুলির ব্যাপারটি নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত ফোর্স পাঠানো হচ্ছে। বালু ঘাটের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, এটি উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের ব্যাপার তারা বলতে পারবেন লিজের ব্যাপারে।