মিয়ানমারের সাম্প্রতিক অস্থিরতাকে পুঁজি করে উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বেড়েছে। স্থানীয় বিজিবি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্ত এলাকায় কঠোরতা অবলম্বন করলেও প্রায় প্রতিদিন মিয়ানমার সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। বিজিবি কিছু কিছু রোহিঙ্গাকে আটক করে মিয়ানমারে পুশব্যাক করলেও তারা সীমান্তে নিয়োজিত দালালের মাধ্যমে পুনরায় এদেশে চলে আসছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সূত্রমতে, উখিয়া টেকনাফ সীমান্তের প্রায় ১৫টি পয়েন্টে ৫০ জনের বেশি দালাল মানুষ পাচারে সক্রিয় রয়েছে। এলাকার প্রতিটি ভাড়াবাসায়, সংরক্ষিত বনাঞ্চলে, সমুদ্র সৈকতের বস্তিতে, ঝাউবাগানে পুরাতন এবং নতুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নিতে দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আদম পাচারকারী সদস্যরা মিয়ানমারে পাচার করছে এদেশের চাল , তেল, চিনি, গুড়, ওষুধ, ডিম , ময়দাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল। রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিয়ে ব্যবসা করতে উখিয়া টেকনাফ উপজেলার ১৫টি সীমান্ত পয়েন্টে শতাধিক আদম পাচারকারী চক্র রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি এক থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। অবৈধ পথে আসা এসব রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগকে পরে সাগরপথে মালেয়শিয়া পাচার করার অভিযোগ রয়েছে দালালদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়- এসব দালালরা উখিয়া উপজেলার ঘুমধুম, তুমব্রু, পালংখালী, রহমতের বিল, দরগাবিল, আমতলী, বালুখালী টেকনাফের নয়াপাড়া-গৌজিবিল ঘাট, নয়াপাড়া-মাঙ্গালা ঘাট ,টেকনাফ পৌরসভা এলাকার নাইট্যংপাড়া ঘাট, জালিয়াপাড়া ঘাট, নাজির পাড়া ঘাট, শাহপরীরদ্বীপ জালিয়াপাড়া ঘাট, করিডোর ঘাট ও মিস্ত্রিপাড়া ঘাট, ঘোলাপাড়া ঘাট এলাকায় বিভিন্ন কৌশলে আদম পাচার অব্যাহত রেখেছে। পাচারের সুবিধার্থে হাতে মোবাইল ফোন নিয়ে একজন এক এক জায়গায় অবস্থান করে বিজিবি সহ প্রসাশনের গতিবিধি লক্ষ্য করে এসব কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজারস্থ ৩৪ বিজিবি পরিচালক ইমরান উল্লাহ সরকার বলেন, সীমান্তে দালালরা সক্রিয় থাকতে পারে। কিন্তু সঠিক তথ্য না পাওয়ার কারনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। সীমান্ত এলাকার বিজিবি সদস্যরা অনুপ্রবেশকৃত রোহিঙ্গা ও দালালদের ব্যাপারে তৎপর রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ