২য় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. মতি (৩৮) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আটক মো. মতি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মো. জয়নালের ছেলে। এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে বুধবার রাতে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩ইং) এর ৯ (ক) ধারায় মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মো. আটক মতিকে দিনাজপুর জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
বীরগঞ্জ থানার এসআই মো. আযম প্রধান জানান, দীর্ঘদিন পুর্বে হতে ওই স্কুলছাত্রীর পিতা পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মো. জয়নালের ছেলে মো. মতি (৩৮)-কে ধর্মপিতা হিসেবে মেনে আসছিল। এ সম্পর্কের কারণে উভয় পরিবারের মধ্যে যাতায়াত তৈরি হয়। এর এক পর্যায়ে গত ৬ নভেম্বর ধর্ষণের শিকার সোনাচালনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্রী তার মায়ের সাথে মতির বাড়িতে বেড়াতে যায়। বিকেলে শিশুকন্যাকে সেখানে রেখে মা নিজ বাড়িতে আসে। রাতে মতির কাছেই ঘুমিয়ে পড়ে ওই শিশু স্কুলছাত্রী। ঘুমের এক পর্যায় শিশু স্কুলছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। পরে মতি শিশুটিকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করে। এতে ক্ষতস্থানে ইনফেকশন হয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারের লোকজন ১৬ নভেম্বর পলাশবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. জুয়েলুর রহমানকে অবহিত করেন। ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েলুর রহমান শিশুটিকে থানায় পাঠিয়ে দেন।
বীরগঞ্জ থানার ওসি আবু আক্কাছ আহ্মদ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের তত্ত্বাবধানে স্কুলছাত্রীটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ওই ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে বুধবার রাতে মামলা করেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ ঘটনায় অভিযুক্ত মো. মতিকে আটক করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ নভেম্বর, ২০১৬/এ মজুমদার/ আফরোজ-০৮