সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন। শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে টেকনাফ স্থলবন্দরের মালঞ্চ কটেজ প্রাঙ্গণে বিজিবি'র সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা গুলো বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ৬৩ কিলোমিটার জল সীমান্ত এলাকা বন্ধ করা সম্ভব নয়। রোহিঙ্গারা সুযোগ নিয়ে সীমান্তের কোন না কোন স্থান দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে তা অস্বীকার করার মত না। স্থানীয় কিছু দালাল টাকা নিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে। এসব দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যেসব এলাকা দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে সেসব এলাকা চিহ্নিত করে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং অনুপ্রবেশের আশংকাজনক স্থানগুলোতেও টহল জোরদার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হলে লোকাল কমিউনিটি এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন। তবে কী পরিমাণ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটেছে তার পরিসংখ্যান বিজিবির কাছে নেই। সীমান্তে বিজিবি যেসব রোহিঙ্গা আটকের পর ফেরত পাঠায় তাদের সব ধরণের মানবিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ব্যবস্থা নেবেন। বিজিবির কাজ হচ্ছে সীমান্ত পাহারা দেওয়া। সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বিশ্বে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সব জায়গায় চলছে, তাছাড়া অস্ত্র চোরাচালানী, অবৈধ চোরাচালান ও কিছু খারাপ লোক সব সময় সুযোগে থাকে, সে জন্য আমরা সীমান্তে টহল বৃদ্ধি করেছি। মিয়ানমার সীমান্তে সন্ত্রাসীরা যাতে কোন সুযোগ নিতে না পারে সে জন্য বিজিরি পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসীদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। এখানে দেশী-বিদেশী কোন সন্ত্রাসীকে অপতৎপরতা চালানোর সুযোগ দেওয়া হয়না। সীমান্তের সকল রাষ্ট্রের সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক। মিয়ানমারে ঘটনার পর আমরা মিয়ানমার থেকে আসা গুলিবিদ্ধ দুই অপরাধীকে ধরে তাদের কাছে হন্তান্তর করেছি।
এসময় রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লংঘন হচ্ছে কিনা যানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে আধুনিক বিশ্বায়নের যুগ। এখন কোন কিছু গোপন করার সুযোগ নেই। মিয়ানমারে কি হচ্ছে তা বিশ্ববাসী দেখছে। তবে মিডিয়ার লোকজন আরও বেশি তৎপর বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, সরকার সীমান্তে কাটা তার ও বেড়ীবাঁধ সড়কসহ অসমাপ্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তা বাস্তবায়ন হলে সীমান্ত শতভাগ সুরক্ষা করা সম্ভব হবে।
এরপর বিজিবির মহাপরিচালক টেকনাফে বিভিন্ন বিওপি ও সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে কক্সবাজার উদ্দেশে রওনা করেন।
বিডি প্রতিদিন/২৫ নভেম্বর ২০১৬/হিমেল