১৯৭১ সালের ৭ মার্চের পর সারা দেশের মত দিনাজপুরের পার্বতীপুরেও শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ব্যবসা বাণিজ্য, অফিস-আদালত স্কুল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। প্রায় বন্ধ হয়ে যায় রেল যোগাযোগ। মুক্তিযোদ্ধাদের কঠোর প্রতিরোধের মুখে পাকহানাদার বাহিনীরা পার্বতীপুর এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের পর পার্বতীপুর হানাদার মুক্ত হয়।
২৩ মার্চ শহরে অবাঙালিদের বৈষম্যমূলক আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে পার্বতীপুরের গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষ শহর ঘেরাও করে সিদ্দিক মহল্লায় অগ্নিসংযোগ করে। এসময় অবাঙালিরা নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ব্যাপক গুলিবর্ষণে কালাই ঘাটির রইচ উদ্দিন, আটরাই গ্রামের দুখু, বেলাইচন্ডির মোজাম্মেল হক ও শফি প্রমুখ প্রাণ হারায়।
১৫ ডিসেম্বর পার্বতীপুরবাসী ‘বধ্যভূমি স্মৃতি সৌধে’ ফুল দেওয়ার মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পার্বতীপুর হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়ে থাকে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ