শেরপুর জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটি’র সভায় উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত পুুলিশ প্রহরায় সভা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান সভার উপদেষ্টা সরকার দলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক।
সভা সূত্রে জানাযায়, শেরপুরে জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটি’র সভায় সদর আসনে সাংসদ সরকার দলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক সদ্য শেষ হওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী নানা সহিংসতা ও দলীয় নেতাদের ভয়ভীতি দেখানোর কথা উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন। এসময় হুইপ আতিকের ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায় সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ছানোয়ার হোসেন ছানু। এতে সভায় কিছুটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সভা কক্ষের বাইরে এর প্রভাব পড়ে এবং হুইপ আতিকের পক্ষের নেতা-কর্মীরা ডিসি গেইটের বাইরে অবস্থান নেয়। এ সময় হুইপ বিরোধীরাও সংগঠিত হতে থাকে। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এ সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভিতর ও বাইরে অতিরিক্ত ডিবি পুলিশসহ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এদিকে সভা শেষে অতিরিক্ত পুলিশ প্রহরায় হুইপ আতিউর রহমান আতিক প্রটোকল নিয়ে বেরিয়ে যান।
আইন শৃঙ্খলা কমিটি’র সভার সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ছানোয়ার হোসেন ছানু হুইপ আতিকের ওই বক্তব্য এবং বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেন।
তবে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ডা. এএম পারভেজ রহিম জানায়, আইন সৃঙ্খলা সভায় কোন উত্তেজনা হয়নি। সম্প্রতি এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সারাদেশে এমনিতেই এমপি-মন্ত্রীদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শেষ হওয়া জেলা পরিষদের নির্বাচনে হুইপ আতিক ও দলীয় সমর্থিত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র হুমায়ুন কবির রুমান বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। এরই প্রেক্ষিতে জেলা আওয়ামী লীগে হুইপ আতিক বিরোধী একটি অংশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নির্বাচনের পর আজ ছিল প্রথম জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব