ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে শুক্রবার স্টিমারের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া খেয়া পারাপারের ট্রলারের তিন যাত্রীর লাশ সুগন্ধা ও বিষখালী নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় কলেজ খেয়াঘাট এলাকা থেকে দুইজনের ও রাজাপুরের মানকি সুন্দর গ্রাম থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
যাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- ঝালকাঠির পেনাবালিয়া গ্রামের রাজ্জাক মল্লিক রাজা (৩২) ও একই গ্রামের আলম জমাদ্দার (৩৫) ও দেউরি গ্রামের তসলিম হাওলাদার (৫০)।
গত সোমবার স্থানীয়দের সহযোগিতায় ডুবুরি দল সুগন্ধা নদীর পোনাবালিয়া এলাকা থেকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করে। ট্রলার উদ্ধারের একদিন পর নিখোঁজ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হল।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহে আলম জানান, সকালে কলেজ খেয়াঘাট এলাকার সুগন্ধা নদীতে দুইজনের এবং রাজাপুর উপজেলার মানকি সুন্দর গ্রামের বিষখালী নদীতে একজনের মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে নদী থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। পরে স্বজনরা এসে মৃতদেহ শনাক্তের পর ময়না তদন্তের জন্য লাশ ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা গোলাম রসুল জানান, গত শুক্রবার সকালে ঘন কুয়াশার মধ্যে সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়েনের রাজাপুর গ্রামের সুগন্ধা নদীর খেয়াঘাট থেকে চালকসহ ১১ জন যাত্রী নিয়ে খেয়াপাড়েরর ট্রলারটি শহরের পৌরসভা খেয়াঘাট আসছিল। এসময় মাঝ নদীতে ঢাকা থেকে আসা খুলনাগামী স্টিমার মধুমতির ধাক্কায় ট্রলারটি নদীতে ডুবে যায়। এসময় চালকসহ ট্রলারের ৮ যাত্রী স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় তীরে উঠতে সক্ষম হলেও ঝালকাঠি শহরের রাজ্জাক মল্লিক রাজা (৩২), দেউরি গ্রামের তসলিম হাওলাদার (৫০) ও পোনাবালিয়া গ্রামের আলম জমাদ্দার (৩৫) নামের তিন যাত্রী নিখোঁজ হয়।
বিডি প্রতিদিন/১০ জানুয়ারি ২০১৭/এনায়েত করিম