অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষা চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছে লক্ষ্মীপুর জেলার চাষীরা। কারণ এ ফসলে সামান্য পরিচর্যা হলেই চলে আর অল্প খরচে বেশি লাভ হয়। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাট, মেঘনা নদী উপকূলের চর রমনী, মোহন গ্রাম ও ভবানীগঞ্জ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে হলুদ আর হলুদ। ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে সরিষা ক্ষেত। মৌমাছি আর প্রজাপতির আনা গোনায় সরিষা মাঠগুলো হয়ে উঠেছে মনোমুগ্ধকর।
এখানকার চাষীরা বলছেন, আমন ধান কাটার পর জমি কয়েক মাসের জন্য পরিত্যক্ত থাকে। আর সেই জমিতেই অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করে লাভবান হচ্ছে জেলার কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগ-বালাই না হওয়ায় এবার ভাল ফলনের আশা করছেন তারা।
বোরো ধান চাষের আগে সরিষা চাষ করে বাড়তি আয় হওয়ায় দিন দিন সরিষা চাষে এ অঞ্চলের কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। সরিষার ফুল মাটিতে পড়ে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ায়। তাছাড়া বাজার দরও ভালো।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৩০০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় ফলন হয়েছে বেশ। একই সঙ্গে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে চাষীরা সফলতার মুখ দেখছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ গোলাম মোস্তফা বলেন, এইসব জমিতে মধু আহরণের জন্য কয়েকটি মৌ-বাক্স স্থাপন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/১১ জানুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা