জনতার ক্ষোভের মুখে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নে নির্মানাধীন চারটি ব্রিজের নির্মানকাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
জানা গেছে, প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ওই চারটি ব্রীজের নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম আক্তার হাওলাদার কাজ পরিদর্শনে যান। এসময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডি কর্মকর্তার সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে গ্রামবাসী অনিয়মের অভিযোগ এনে ব্রীজের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানান। পরে কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ চারটি ব্রীজের নির্মাণ কাজ।
পাঁচখোলা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম আক্তার হাওলাদার অভিযোগ করেন, ‘ব্রীজ নির্মাণে শিডিউল অনুসরণ না করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইচ্ছামত নির্মাণ কাজ করছেন। ব্রীজ নির্মাণে নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। যে পরিমাণ পাথরের সাথে বালু ও সিমেন্ট দেয়ার কথা, তার চেয়ে অধিক পাথর ও বালু দেওয়া হচ্ছে। এতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
সদর উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহত্তম ফরিদপুরের গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ২ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ১০৭টাকা ব্যয়ে সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নে ৪টি ব্রীজ নির্মান প্রকল্প নেওয়া হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থে কাজ বাস্তবায়নের জন্য সংশিষ্ট বিভাগ গত বছরের ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখ দরপত্র আহবান করে। আর কাজটি সম্পন্ন করার জন্য কার্যাদেশ পান যৌথভাবে মের্সাস প্রগতি-মিজান (জেভি) ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ অনুযায়ী এ বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি কাজ সমাপ্তি কথা। তবে নির্মানকাজ শুরু করতে দেরী করায় শেষ সময়ে তড়িঘড়ি করে নির্মাণ কাজ করতে হচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত নাসির উদ্দিন টুকু মোল্লা জানান, আমরা ঠিকমতই কাজ করছি। ওরা এসে ঝামেলা করছে।
সদর উপজেলা প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস জানান, আমারা শিডিউল অনুসারে কাজ বুঝে নেব। কাজে ঠিকাদার কোন রকম ফাঁকি দিতে পারবে না।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ
