বান্দরবানের লামায় এক এনজিও ম্যানাজারকে মেরে রক্তাক্ত করে সমিতির কালেকশানের টাকা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে মো. ইমরান (৩৫) নামের এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ম্যানাজার মো. জামাল হোসেনকে(৩১) লামা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার সকাল ১০টায় লামা পৌরসভার পার্শ্ববর্তী বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের পাইন্যাসাবিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ইমরান বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড পাইন্যাসাবিল এলাকার প্রাক্তন মেম্বার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
আহত মো. জামাল হোসেন জানায়, প্রতি রবিবার পাইন্যাসাবিল এলাকায় জনৈক নুরনাহারের বাড়িতে শক্তি ফাউন্ডেশন সমিতির ঋণের টাকা আদায় করা হয়। সকালে মোটরসাইকেল যোগে মো. জামাল হোসেন ও মাঠকর্মী মো. রাসেলকে সাথে নিয়ে পাইন্যাসাবিল নুরনাহারের বাড়িতে যায়। মাঠকর্মী নুরনাহারের বাড়িতে টাকা আদায় করছিল, আর ম্যানেজার অন্য কিছু সদস্যদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাহির হলে পথে গাড়ির গতিরোধ করে মো. ইমরান।
''সে বলে, তুমি নুরনাহারকে কেন টাকা দেওনি। এখন টাকা দাও না হলে মেরে ফেলব। এই বলে মোটা একটি গাছের লাঠি নিয়ে তাকে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে মাথায় আঘাত করলে জামাল হোসেনের মাথা ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং সে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। এ সময় ম্যানাজার জামালের কাছে সমিতির আদায়ের ১২ হাজার টাকা ও ১টি স্যামসাং মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায় ইমরান। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ও মাঠকর্মী মো. রাসেল এগিয়ে এলে মাঠকর্মীকেও মারধরের হুমকী দিয়ে আরও ১০ হাজার ৩০০ টাকা ছিনতাই করে নেয় ইমরান।''
লামা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন, ভারি বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করায় অনেকটা ফেটে গেছে। তাছাড়া শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে।
বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। আমি বলেছি আগে রোগীর চিকিৎসা কর পরে আমি দেখব।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ জানুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব