অবশেষে সুন্দরবন বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটি করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের কুমির পাচার বা চুরির আংশিক দোষ চিতা বিড়াল (বন বিড়াল) এর উপর দিয়েছে।
সুন্দরবন বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রেরিত রিপোর্ট রবিবার অফিসিয়াল ভাবে গ্রহণ করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলো ফরেস্টার মো. তৌহিদুর রহমান, মো. আলাউদ্দিন ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. মেহেদীজ্জামান।
তদন্ত রিপোর্টের বরাত দিয়ে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, করমজলের কুমির রাখার ব্লকে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে সেটি যাচাই বাছাই করা হয়। সেখানে স্থাপন করা ট্র্যাপিং ক্যামেরা চেক করে চিতা বিড়াল কুমিরকে খাওয়ার দৃশ্য পাওয়া যায়। এতে করে তদন্তদল পরের ১৯টি কুমিরর ছানার মিসিংয়ের জন্য চিতা বিড়ালকে দায়ী করে। তবে যেহেতু মামলা হয়েছে সেহেতু প্রথমে পাচার বা চুরি হওয়া ৪৩টি কুমির ছানার বিষয়ে পুলিশ তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর অভিযুক্ত দুই বন রক্ষীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
গত ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে প্রথম দফায় ৪৩টি কুমির ছানা করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের কুমির পাচার বা চুরি হয়। এঘনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বন বিভাগ এক বনকর্মীকে চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত ও অস্থায়ী এক কর্মচারিকে চাকুরিচ্যুত করে তাদের আসামি করে দাকোপ থানায় মামলা করে। এরই মধ্যে ৪ ডিসেম্বর রাতে আরো ১৯টি কুমির ছানা মারা যায়।