বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার শুধুমাত্র নামের বানান ভুলের কারণে দুই বছর ধরে সরকারি ভাতা পাচ্ছেন না মুক্তিযোদ্ধা মোকাম্বর আলী। এতে করে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মোকাম্বর আলী উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের মধ্য দিঘলকান্দী গ্রামের মৃত ভাদু ফকিরের ছেলে। পেশায় কাঠমিস্ত্রী মোকাম্বর আলী এখন বয়সের ভারে আর চলতে পারেন না। ঠিকমত কাজও করতে পারেন না।
সোনাতলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, মোকাম্বর আলী একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তার নাম সংশোধন করে পাঠানো হয়েছে। সংশোধন হয়ে আসলে বকেয়া ভাতাসহ সকল ভাতা তিনি পাবেন।
জানা গেছে, মোকাম্বর আলী ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে ৬নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। তিনি ভারতের মুজিব ক্যাম্প থেকে প্রশিক্ষণ নেন। দেশ স্বাধীনতার পর পুরাতন পেশা চালিয়ে আসলেও ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সরকারি মুক্তিযোদ্ধা ভাতাপ্রাপ্ত হন। ২০১৫ সালে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ে শুধু নামের ভুলের কারণে তার ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। ঠিকানা ও বাবার নাম ঠিক থাকলেও তার নাম মোকাম্বর আলীর স্থলে লেখা হয়েছে মোকারম আলী। তার লাল মুক্তিবার্তা নং ০৩০৬০২০৪৫৪, এফ,এফ নং ৯৯/৭, সাময়িক সনদপত্র নং ১০২৬৪১। তিনি দেশ স্বাধীনের পর ০২/০৩/১৯৭২ সালে অস্ত্র জমা দেন। তার রশিদও রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা মোকাম্বর আলী বলেন, ভারতীয় তালিকায় (এফ, এফ) নাম ঠিক থাকলেও লাল মুক্তিবার্তায় নামের ভুলের কারণে প্রায় দুই বছর ধরে কোনো ভাতা পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, আগে কাঠ মিস্ত্রীর কাজ করতে পারলেও বয়সের ভারে আর কাজ করতে পারেন না। তাছাড়া ভাতা বন্ধ থাকায় ৭ সদস্যের পরিবার নিয়ে অতিকষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে।
সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা শাকিলা দিল হাসিন বলেন, নামের বানানে ভুল থাকার কারণে হয়তো ভাতা পাচ্ছেন না। বানান সংশোধন হয়ে আসলে তিনি আবার ভাতা পাবেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার