লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে ২শ'টি বিদ্যালয়ের কার্যক্রম তদারকির জন্য সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (এইউপিইও) ছয়টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র দুই জন। কিন্তু নিয়মানুযায়ী এখানে ১০টি এইউপিইওর পদ থাকার কথা। এইউপিইওর সংকটে এ উপজেলায় বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঠদানে মনোযোগীর তদারকির কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বেড়েছে অনিয়ম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রায়পুর উপজেলায় ১২১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭৯টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। এবিদ্যালয়গুলোতে ৬২ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এখানে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার একটি ও এইউপিইওর ছয়টি পদ আছে। দুই বছর আগে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদলী হয়ে যান। এরপর থেকে ৩ জন এইউপিইওর মধ্যে ১ জন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। অপর দুজন এইউপিইও হলেন মোঃ আবু জাফর ও মোঃ মজিবুর রহমান।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে পৌর শহরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে মনিটরিং ব্যবস্থা মোটেও নেই, এ কারণে বর্তমানে এ করুন অবস্থা বিরাজ করছে। মনিটরিং বাড়ানো না হলে সরকারের কার্যক্রম ও লক্ষ্য উদ্দেশ্য চরমভাবে ব্যহত হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব বলেন, বিদ্যালয়ের তুলনায় এমনিতেই এই এইউপিইওর পদ অনেক কম। বিদ্যালয়গুলোতে যত বেশি তদারকি হবে তত বেশি সুফল পাওয়া যাবে। তদারকি থাকলে শিক্ষার মানও বাড়ে। এজন্য তদারকি কার্যক্রম অনেক বেশি জোরদার করতে হবে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা ফেরদৌসি বলেন, প্রায় দুই বছর আগে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অন্যত্র বদলী হয়ে গেছেন। এখন তার দায়িত্ব আমাকে পালন করতে হচ্ছে। এজন্য আমাকে প্রশাসনিক কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকতে হয় সারাক্ষণ। এতে বিদ্যালয় মনিটরিং কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। দুজন এইউপিইওর পক্ষে ২শ' টি বিদ্যালয় মনিটর করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। ২০টি বিদ্যালয়ে মনিটরিং করার জন্য একজন এইউপিইওর বিধান রয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/৪ মার্চ ২০১৭/হিমেল