আগামী ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে খাগড়াছড়ির নবগঠিত গুইমারা উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচন। ফলে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠ সরগরম। নির্বাচনে বিজয়ের স্বাদ পেতে সব প্রার্থীই মরিয়া হয়ে শেষ মুহূর্তের প্রচারনায়। নতুন উপজেলার প্রথম জনপ্রতিনিধি হতে মরিয়া সবাই।
ভোটারদের মন জয় করতে প্রার্থীরা ছুটছেন প্রতিটি ভোটারের ঘরে ঘরে। চাইছেন ভোট, সঙ্গে দোয়া। ভোটাররাও সবাইকে দোয়া করে দিচ্ছেন। তবে ভোট কাকে দেবেন সেটি নিজের মনের মধ্যেই রেখেছেন। শহর থেকে গ্রামাঞ্চল প্রার্থীদের পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। প্রচারণার শেষ মুহূর্তে গণসংযোগ, শ্লোগান আর মাইকিং-এ মুখরিত শহরতলী থেকে গ্রামাঞ্চল।
নির্বাচনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যানারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের একজন প্রার্থী। নবগঠিত গুইমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকার প্রার্থী মেমং মারমা ও বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী মোহাম্মদ ইউছুফ। ডেমোক্রেটিক প্রার্থী উশেপ্রু মারমা। এছাড়া বিএনপি মনোনীত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী পূর্ন কান্তি ত্রিপুরা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হলাউচিং মারমা, আওয়ামী লীগের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নুরুন্নবী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ঝর্ণা ত্রিপুরা। সতন্ত্র প্রার্থী ভাইস চেয়ারম্যান মিল্টন চাকমা ও থোয়াইঅংগ্য চৌধুরী। গুইমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ তাদের মর্যাদার লড়াই হিসেবে বিবেচনা করছে। এই কারণে উভয় দলের নেতারা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। প্রার্থীদের নিয়ে ঘুরছেন ভোটারদের ঘরে ঘরে। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
তবে সব প্রার্থীই নিজেদের বিজয়ে আশাবাদী হলেও ভোটাররা বলছেন তারা সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বাছাই করে নিতে নতুন নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি অবাধ, সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রত্যাশা করছেন। গুইমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রির্টানিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এটি এম কাউছার হোসেন বলেন, নবগঠিত ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনকে অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও প্রভাবমুক্ত করতে প্রশাসন সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতোমধ্যে র্যাব ও বিজিবি মোতায়েনের জন্য পত্র দেওয়া হয়েছে। সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি আইন-শৃঙ্খলা সেল গঠন করা হয়েছে। কেউ আচারণ বিধি লংঘন করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ