বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় পণ্ডিতপুকুর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের স্কুলছাত্র কাওসার মাহমুদকে নির্যাতনের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত ও খণ্ডকালীন সহকারী শিক্ষক আমজাদ হোসেনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রবিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোতাহার আলী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের পণ্ডিতপুকুর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র কাওসার মাহমুদকে অফিস কক্ষে ডেকে এনে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক আমজাদ হোসেন দু’জন মিলে নির্যাতন করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) ভর্তি করা হয়। এখনো ওই ছাত্র শজিমেকে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় গত ১ মার্চ ছাত্রের বাবা হাসান মাহমুদ অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিচার চেয়ে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর অভিযোগ দেন। পাশাপাশি নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছেও অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফুন্নেসা উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মোতাহার আলীকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে ছাত্র কাওসারকে অমানুষিক নির্যাতনের সত্যতা মিলেছে। এরপরই ওই দুই শিক্ষককে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
পণ্ডিতপুকুর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহবুব হোসেন উজ্জল বলেন, একক সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে স্কুলছাত্র কাওসারকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করায় দায়ে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সাময়িক বরখাস্ত ও খণ্ডকালীন সহকারী শিক্ষক আমজাদ হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ