সরই-লুলাইং সড়ক। লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম লেমুপালং, সরই, ডলুছড়ি এবং গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং সহ ৪টি মৌজার ১৪-১৫ হাজার মানুষের যাতায়াতের এই রাস্তায়। পাহাড়ি রাস্তা ও বেশ উচু-নিচু হওয়াতে এই পথে রয়েছে দুর্ঘটনার আশংকা। তার উপরে সম্পূর্ণ রাস্তাটি ভাঙ্গা ও খানাখন্দে ভরা। এই পথে চলাচলকৃত গাড়িগুলো অনেক পুরাতন ও জরাজীর্ণ। দুর্গম এলাকার মানুষ গুলোকে এই রাস্তায় প্রতিনিয়ত মৃত্যুকে সঙ্গী করে পথ চলতে হয়। বর্ষা এলে পাহাড় ধস ও রাস্তা ভাঙ্গার কারণে প্রায় ৪ মাস গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। সে সময় পায়ে হেঁটে পথ চলে এই অঞ্চলের মানুষ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরই ইউনিয়ন সদর থেকে লুলাইং পর্যন্ত রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬ কিলোমিটার। প্রথম ৫ কিলোমিটার কার্পেটিং আর বাকী ১১ কিলোমিটার ইটের সলিং ও কাঁচা। রাস্তাটি বেশ উচুনিচু ও আকাবাকা। তার উপরে সম্পূর্ণ রাস্তাটি ভাঙা। অনেক জায়গায় রাস্তার চিহ্ন পর্যন্ত নেই। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করে চলাচল উপযোগী করতে অনুরোধ করেন স্থানীয় জনসাধারণ।
সরই ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন বলেন, এটি ইউনিয়নের মূল সড়ক। ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষের বসবাস ও যাতায়াত এই পথে। রাস্তাটি প্রচুর ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তা ভালো না হওয়ায় এই এলাকাটি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।
লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী বলেন, এই রাস্তাটি অনেক পুরাতন। সম্পূর্ণ রাস্তাটি খানাখন্দে ভরপুর। সরই লুলাইং সড়কের বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপিকে বলা হয়েছে। আশা করি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার