বাগেরহাটের শরণখোলায় আলাউদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবকের গোপনাঙ্গে ইট ঝুলিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার আট সহযোগীসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনের নামে একটি মামলা করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে শরণখোলা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জলিল জানান, মোবাইলে শরণখোলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মধ্য বানিয়াখালী গ্রামের এক তরুণীর (১৭) সঙ্গে পাশ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা গ্রামের আলাউদ্দিনের (৩৫) পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে ৯ এপ্রিল ওই আলাউদ্দিনকে ওই তরুণী তাদের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানায়।
এসময় স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি আলাউদ্দিনকে আটক করে ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খাঁনকে খবর দেন। চেয়ারম্যান সেখানে গেলে এলাকার কিছু যুবক আলাউদ্দিনকে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে বিচার দাবি করেন। এসময় মহিউদ্দিন খাঁন মধ্য বানিয়াখালী গ্রামের শহিদের চায়ের দোকানের সামনে গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) ইসমাইল হোসেনকে দিয়ে প্রকাশ্যে আলাউদ্দিনের গোপনাঙ্গে ইট বেঁধে কয়েক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে অর্থের বিনিময়ে আলাউদ্দিনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওসি জানান, ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা পুলিশের কাছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/১৮ এপ্রিল ২০১৭/হিমেল