বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, কিশোর অপরাধীদের বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। বিচার কার্যক্রম দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে তাদেরকে পিতা মাতার কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। এ বিষয়ে আমরা সরকার ও আইন মন্ত্রীর সাথে কথা বলবো। বিভিন্ন জেলার শিশুরা বিভিন্ন মামলায় বছর পর বছর ধরে টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে দিন কাটাচ্ছে। সামান্য চুরির অপরাধের ভুলের কারণেও অনেক সময় শিশুদের আদালতের মাধ্যমে শিশু কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আজ সকালে টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, স্কাইপির মাধ্যমে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রও আদালতের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। স্কাইপি মাধ্যমেই কিশোর অপরাধীদের বিচার কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করা হবে। তাছাড়া স্কাইপির মাধ্যমে স্বজনদের সাথেও নিয়মিত যোগাযোগ করার ব্যবস্থা থাকবে। তাছাড়া অপরাধের ধরন এবং বয়সসীমা অনুযায়ী কিশোরদের ভিন্ন ভিন্ন সেগ্রিগেশনে রাখার পরামর্শ দেন। দেশের প্রতিটি থানায় একজন উপ-পরিদর্শকের তত্বাবধানে একটি শিশু ডেস্ক চালু রাখার ব্যপারে জোড় দেন। শিশু-কিশোরদের সাথে সাক্ষাতের সময় তাদের প্রতিক্রিয়া সর্ম্পকে বলেন, শিশু-কিশোররা আরও বেশি বেশি পরিবারের লোকদের সাথে যোগাযোগরে দাবি জানিয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেম সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মাননীয় বিচারপতি এম ইমান আলী, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম আলম, গাজীপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন, টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ তালুকদার, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র টঙ্গীর তত্বাবধায়ক মো. শাহজাহান ও ইউএনডিপির কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার