মাগুরা সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে দুই শিক্ষকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই মাদরাসা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১ জন আহত হয়ে হাসাপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
আহত শিক্ষক মাহফুজুর রহমান বলেন, আমি ৭ম শ্রেণীর ক্লাস নেয়ার সময় বিজ্ঞান শিক্ষক আতাউর রহমান হঠাৎ করে ক্লাসে ঢুকে আপত্তিকর কথা বলার পাশাপাশি আমাকে বলেন, 'আপনি বলেছেন আমি (আতাউর) নাকি প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছি'। আমি সেখান থেকে উঠে যেতে গেলে আমার পাঞ্জাবী টেনে ছিড়ে দেয় ও লাথি চড় মারার চেষ্টা করে। এ সময় লোকজন এসে ঠেকিয়ে দেয়। তিনি অভিযোগ করেন তার কাছে যারা প্রাইভেট পড়ে তাদেরকে তিনি প্রশ্ন আউট করে দেন। তাছাড়া মাদরাসার প্রিন্সিপালসহ অনেকের সাথেই প্রায়ই এরূপ দুর্ব্যবহার করে থাকে।
অভিযুক্ত শিক্ষক আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মাহফুজ হুজুর প্রায়ই আমার সম্পর্কে বাজে কথা বলে থাকেন। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বলেন আমি প্রাইভেট পড়ানোর নামে তাদেরকে নষ্ট করছি। তা ছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথাও প্রায়ই বলেন। মিথ্যা অভিযোগের কারণ শুনতে গেলে উল্টো উত্তেজিত হয়ে তিনি আমাকে মারতে আসে। তার সাথে আমার হাতাহাতির কোন ঘটনা ঘটেনি।
সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাহফুজুর রহমান জানান, তারা প্রায়ই এরূপ ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। বিষয়টি নিয়ে যাতে নতুন করে সমস্যা তৈরী না হয় সে জন্য মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করেছি। পরবর্তীতে ম্যানেজিং কমিটির মিটিং করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও মাদরাসা খোলার সিদ্ধান্ত নেব।
বিডি প্রতিদিন/১৮ এপ্রিল ২০১৭/হিমেল