শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর ৬৩ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দপ্তরির বিরুদ্ধে ১১ ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘট্নায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্কুল চত্ত্বরে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীরা।
এদিকে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে না আশায় বন্ধ হয়ে গেছে শ্রেণি কার্যক্রম। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক আলম।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত শরীয়তপুর সদর উপজেলার ৬৩নং বিনোদপুর ঢালী কান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম কাওসার আহম্মদ ও দপ্তরি জাহিদুল ইসলাম বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নানাভাবে যৌন হায়রানি করে আসছেন। শিক্ষার্থীরা লোকলজ্জার ভয়ে প্রধান শিক্ষকের নির্যাতনের ঘটনা মুখ বুজে সহ্য করেছে। জানাতে পারেনি অভিভাবকদের। ১২ এপ্রিল ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রী স্কুল থেকে কান্নাকাটি করে বাড়ি গিয়ে প্রধান শিক্ষক এসএম কাওসারের কু-কর্মের কথা তার মাকে জানায়। এরপর ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক এসএম কাওসারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেন। এতে ফাঁস হয়ে যায় লম্পট কাওসারের দীর্ঘদিনের অপকর্ম। এ ঘটনায় আরও ১০ জন ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দেন। বিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রীরাও তাদের সাথে প্রধান শিক্ষকের অশ্লীল আচরণের কথা ফাঁস করে দেয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দপ্তরির যৌন নির্যাতনের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। প্রধান শিক্ষক ও দপ্তরির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ছাত্রীদের অভিভাবক ও স্বজনরা।তবে ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক এসএম কাওসার ও দপ্তরি জাহিদুল ইসলাম।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার