মেহেরপুর পৌর নির্বাচন নিয়ে জেলা বিএনপি প্রার্থী ও সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মেহেরপুর প্রেসক্লাবে পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। উভয়নই সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা মামলা দিয়ে কর্মিদের হয়রানী, পুলিশ ও ভাড়াটে মাস্তান দিয়ে জনসংযোগে বাধাসৃষ্টির অভিযোগ করেছেন।
আজ শনিবার দুপুরে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান মেয়র মোতাছিম বিল্লাহ তার স্ত্রী এক নম্বর ওয়ার্ডে জনসংযোগে গেলে ভাড়াটে মাস্তান দিয়ে কাপড় খুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেন।
শনিবার দুপুরে মেহেরপুর প্রেসক্লাবে জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের পক্ষে জেলা বিএনপি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. মারুফ আহামেদ বিজন, মেয়র প্রার্থী পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য ৬টি দাবি পেশ করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মানুদ অরুন। দাবিগুলো হলো নির্বাচনকালীন সময় কাউকে অইনশৃঙ্খলা বাহিনী অহেতুক হয়রানী ও মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না। আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা, ভোটারর যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে, দলনিরপেক্ষ প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগ করতে হবে, ভোটকেন্দ্রে অনুমোদিত ব্যাক্তি ভোটার ছাড়া অন্য কাওকে প্রবেশে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং ভোট কেন্দ্র সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহের অবাধ সুযোগ দিতে হবে।
মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর বিশ্বাস সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, অনাকাংক্ষিত ঘটনার আশংকায় পৌর এলাকায় তারা কোন নির্বাচনীঅফিস করেননি। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর সব ওয়ার্ডেই একাধিক করে নির্বাচনী অফিস। সেসব অফিসে পুলিশ পাহারার ব্যাবস্থার অনুরোধ করেছেন তিনি। ভোটকেন্দ্রের বাইরে পাড়া মহল্লাতেও ভোটের দিন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভাগের টহল জোরদার করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার সুযোগ দেবার দাবি জানান।
এ সময় তিনি নির্বচন কর্মী জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল হক জাহিদ, ওয়ার্ড কর্মী শরিফুল ইসলাম ও আবু হানিফকে হয়রানী মামলায় আটক গত দিবাগত শুক্রবার রাতে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেন। এবং বিএনপির বেশকিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ছিনতায় ও চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে পুলিশী হয়রানী করা হচ্ছে বলে দাবি করেন।
এদিকে একই দাবিতে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু সাংবাদিক সম্মেলনে করেছেন। তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বর্তমান পৌর মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু দুপুর দেড়টায় সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, জনসংযোগে গেলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা আছে একটি মহলের। বুধবার পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডে জনসংযোগে যাওয়া তার স্ত্রী ঝর্ণার গায়ের কাপড় খুলে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সাদা পোষাকে রাতের অঁধারে পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তার কর্র্মি সমর্থকদের হয়রানী করছে। তার নির্বাচনী এজেন্ট ইমদাদুল হক জীবন ও সহকারি এজেন্ট মানিক হোসেনের নামে মটোর সাইকেল ছিনতাই মামলা দেয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্র দখল হয়ে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন এই প্রার্থী।
তিনি গত শুক্রবারে আওয়ামী লীগ কার্যলয়ে অগ্নি সংযোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, আওয়ামী লীগের সমার্থিত প্রার্থী নিজের কার্যলয়ে আগুন লাগিয়ে আমার সহ অন্য প্রার্থীদের কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করছে। তাদের তিনটি কার্যলয়ে আগুন লাগলো। আগুনে তিনটি কার্যলয়ের শুধু টেবিল ক্লথ পুড়লো আর কিছু পুড়লোনা কেন? তিনি নির্বাচন অফিসার ও প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্ন বৃদ্ধ বলে উল্লেখ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ এপ্রিল, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৯