রাজশাহীতে ছেলের লাঠির আঘাতে সেরিনা বেগম (৫২) নামে এক নারী খুন হয়েছেন। ছেলের লাঠির আঘাতে সেরিনার স্বামী হাবিবুর রহমানও আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সেরিনা বেগমের ছেলের নাম বানী ইসরাইল (৩৫)। পুলিশ বানী ইসরাইলকে আটক করেছে।
বানী ইসরাইলের চাচাতো ভাই আল-মামুন বলেন, রাতে বাড়িতে বানী ইসরাইল ও তার বাবা-মা ছাড়া অন্য কেউ ছিল না। হঠাৎ মা-বাবাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন বানী। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান সেরিনা বেগম। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ওই বাড়িতে ছুটে যান। তখন বাড়িতে হাবিবুর রহমানও আহত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান।
আল-মামুন জানান, পাঁচ মাস আগে বিয়ে করেছেন বানী ইসরাইল। কিন্তু মাঝে মাঝে তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে যায়। কিছুদিন আগে বানী তার বোনদের ঘরের ভেতর আটকিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি জানান, তিনি ঘটনাস্থলেই আছেন। নিহত সেরিনার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ছেলে বানী ইসরাইলকেও আটক করা হয়েছে। এছাড়া জব্দ করা হয়েছে তার বাঁশের লাঠি।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন