'নির্বাচনকালীন আদর্শ সরকার থাকলেই আগামী নির্বাচনে বিএনপি যেতে প্রস্তুত আছে। আদর্শ সরকার এবং নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ করার ব্যবস্থা বর্তমান সরকারকেই নিতে হবে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে ভোট ডাকাতির নির্বাচনের ফাঁদে বিএনপি পা দিবে না। সরকারকে প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন করে যে ভাবে ভোট প্রহনযোগ্য হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে।' শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর বাসায় একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন বিএনপির সহ-সভাপতি ইনাম আহমেদ চৌধুরী।
এসময় তিনি আরো বলেন, '৫ জানুয়ারি' মার্কা নির্বাচন আবার করতে চাইলে বিএনপি নয় দেশের মানুষই মানবে না। ভোটার বিহীন প্রতিযোগীতাহীন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটিই সংবিধান পরিপন্থি হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সরকারকে বাধ্য করতে বিএনপি অবশ্যই আন্দোলনে যাবে, তবে আন্দোলন মানে হইহুল্লা করা নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হলে কিভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে তা সরকারকে বলতে হবে। যদি দেশবাসি মনে করে নির্বাচন সুষ্ঠ হবে তবে সবাই মেনে নেবে। মোট কথা নির্বাচনকালীন লেবেল প্লেইং ফিল্ড ইন নিশ্চিত করতে হবে।
ইনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলে কিভাবে নির্বাচান সুষ্ঠু হবে সেটা সরকারি দলকে পরিস্কার করতে হবে এবং আমাদের বিষয়টা বোঝতে হবে ও দেশবাসির কাছে কিশ্বাস যোগ্য হতে হবে। আমাদের দায়িত্ব নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা সেটা দেখা আর সরকারের দায়িত্ব নিরপেক্ষ নির্বাচন কিভাবে হবে তা পরিস্কার করা।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভোট চায়, বিএনপি নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত কিন্তু সরকার ভোটাধিকার নিশ্চিত না করলে বিএনপি কি করবে তা আগামী ১০ মে নেত্রী খালেদা জিয়া প্ররিস্কার করবেন। দেশবাসী, বিএনপি সবাই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কিন্তু সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সাহস পাচ্ছে না। আবারও অগণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত হতে কয়েকজন মন্ত্রী সেই ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়েই যাচ্ছে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধ ও স্বাধীনতার মূল স্তম্ভ গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার। সরকার মূলস্তম্ভ থেকে সরে গিয়ে যেনতেন ভাবে নির্বাচন করে টিকে থাকতে চায়।
তিনি আরো বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে নির্বাচনকালীন এমন একটি সহায়ক আদর্শ সরকার হতে হবে যারা নির্বাচনকে অবাধ নিরপেক্ষ করবে। তার জন্য আলোচনা করা যেতে পারে। এই আলোচনার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করতে চাইলে বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে। তবে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হওয়ার গ্যারান্টি পেলে অন্য যে কোন দাবিকে কাটছাঁট করে বিএনপি নির্বাচনে যাবে এমন ঈঙ্গিত দিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।
তিস্তা নিয়ে সাবেক এই কূটনৈতিক বলেন, এই সমস্যাটি কোন রাজনৈতিক দলের নয় এটা বাংলাদেশের সমস্যা।এর সমাধানে আমরা সম্মান জনক সমাধান চাই। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। তাকে সবাই মিলে বোঝাতে হবে, তিস্তার জন্য বাংলাদেশের কি সমস্যা হচ্ছে ।
বিডি প্রতিদিন/৬ মে ২০১৭/হিমেল