বরিশালের উজিরপুরে প্রাইভেট শিক্ষক শামসুল হকের বিরুদ্ধে শিশু ছাত্রীকে (৮) শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় তার পিতাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আজ ওই শিশুর মা হাফিজা আক্তার লিপি বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আসামিরা হলো- শামসুল হক হাওলাদার, পারভেজ হাওলাদার, এছাহাক হাওলাদার, হায়দার হাওলাদার, বেল্লাল হাওলাদার ও সেলিম হাওলাদার। যৌন নিপীড়নের শিকার ওই শিশু আশোয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী এবং আশোয়ারা গ্রামের মিন্টু ফকিরের মেয়ে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আশোয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মসজিদের বারান্দায় প্রতিদিন সকালে শিশুদের আরবি ও বাংলা প্রাইভেট পড়ান শিক্ষক শামসুল হক। সেখানে অন্যান্য শিশুদের মত প্রতিদিন প্রাইভেট পড়তে যায় মিন্টু ফকিরের শিশু কন্যা। গত ১০ মে প্রাইভেট পড়তে গেলে শামসুল হক ওই শিশুর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং বিষয়টি কাউকে না বলতে নিষেধ করে। কিন্তু শিশুটি তাৎক্ষণিক ঘটনাটি তার মা-বাবাকে জানায়।
এ ঘটনার দুই দিন পর গত শুক্রবার আশোয়ার সাইক্লোন সেন্টারের সম্মুখে শামসুল হককে দেখে ওই ছাত্রীর বাবা মিন্টু ঘটনা সম্পর্কে জানতে চায়। এতে শামসুল ক্ষুব্ধ হয়ে তার আত্মীয়দের নিয়ে মিন্টুকে বেদম মারধর করে। মিন্টুর ডাক-চিৎকার দিলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শামসুল হক বলেন, তার বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম জামাল হোসেন এবং ইউএনও ভালো জানেন।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি গোলাম সরোয়ার জানিয়েছেন, শিশুটির মা হাফিজা আক্তার বাদী হয়ে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার