নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গি বিরোধী সমাবেশ পন্ড করতে আওয়ামী লীগের নামধারীদের একটি পক্ষ একইস্থানে কর্মী সম্মেলন ডেকেছিল। আর এ কারণে স্থানীয় প্রশাসন সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। সমাবেশ করতে না পেরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ এলাকার হাজার হাজার জনতা সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ পথসভা করেছেন। আজ বিকেলে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শাহজাহান ভুইয়া, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা ও কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম রফিক, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হোসেন ভুইয়া রানু, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাশার টুকু, জেলা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী ইয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল আউয়াল, যুবলীগ নেতা আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বিকেলে তালাশকুট এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী সমাবেশের আয়োজন করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। আর এ সমাবেশ পন্ড করতেই সেখানে জায়েদ আলীসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী সফিকুর রহমান বাদল, মোশারফ হোসেন মোশা ও তার বাহিনী কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেন। যা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার একটি পায়তারা। এছাড়া দুপুরে ওই এলাকার শমসের আলীর বাড়িতে একটি বিয়ে অনুষ্ঠানের দাওয়াত ছিলো নেতৃবৃন্দের। ১৪৪ ধারা জারির কারণে ওই বিয়ে অনুষ্ঠানেও যাওয়া হয়নি।
জানা গেছে, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গি বিরোধী সমাবেশ পন্ড করায় দুপুর থেকেই এলাকার শতশত নারী-পুরুষ দলমত নির্বিশেষে নাওড়া এলাকায় অবস্থিত কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে আসতে শুরু করে। বিকেল ৪টার দিকে সেখানে জনসমাবেশে রুপ নেয়। পরে সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গি বিরোধী সমাবেশ পন্ডকারী নামধারীদের বিরুদ্ধে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম রফিকের নেতৃত্বে হাজার হাজার নারী-পুরুষ পথসভা করেন। এছাড়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ১৪৪ ধারা জারির এলাকায় প্রবেশ করেনি পথসভাটি।
আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, যারা সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গি বিরোধী সমাবেশ পন্ড করার জন্য এ ধরনের কর্মকান্ড করে থাকেন, তারাই সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিদের মদদদাতা। আর এ কারণেই ওই সব অপরাধী ও নামধারী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আমাদের সমাবেশটি পন্ড করে দেয়। শুধু তাই নয় বিয়ের অনুষ্ঠানটিতেও যাওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেফতাকৃত ২১ টি মামলার আসামি কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান বাদল ও ৪টি হত্যাসহ ৩৩ টি মামলার আসামি কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মোশা যুবলীগের পদ পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এসব অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতেই সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গি বিরোধী সমাবেশ পন্ড করে দেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার