পুলিশের দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় ৪ যুবলীগ কর্মীকে ৩ দিন ধরে আটকে রেখে নির্যাতন করেছে পুলিশ। চাঁদা না পেয়ে পুরাতন মামলায় তাদের আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর প্রতিবাদে নির্যাতিত ৪ যুবলীগ কর্মীর পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে।
শুক্রবার বিকেলে নাটোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত নির্যাতিত যুবলীগ কর্মীদের পারিবারিক সংবাদ সম্মেলনে কানু দাসের স্ত্রী দুলালী দাস অভিযোগ করে জানান, ৩১ মে রাতে সদর উপজেলার চক আমহাটি এলাকায় তার স্বামী কানু দাসসহ ৪ যুবলীগ কর্মীকে কোন মামলা না থাকার পরও ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। থানায় আনার পর তার পরিবারের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা না দেওয়ায় চালানো হয নির্যাতন। টাকা দিতে না পরায় ০২ জুন বিকেলে অন্য মামলায় তাদের আদালতে সোর্পদ করা হয়।
যুবলীগ কর্মী সোহেলের পিতা তোফাজ্জল হোসেন জানান, ৩১ মে রাতে সাদা পোশাকে পুলিশ তাদের বাড়িতে গেলে পরিচয় জানতে চাইলে তাকে নাটোর থানার এস আই আল মামুন মারপিট করে। তার ছেলেকে ছাড়াতে ২০ হাজার টাকা দাবি করে পুলিশ। টাকা না দেওয়ায় তার ছেলেকে পুলিশ চরম নির্যাতন করে। নির্যাতনে হাত-পা ভেঙ্গে যায় সোহেলের। এই অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা করে তাকে পুরাতন মামলায় আদালতে সোর্পদ করা হয়।
এব্যাপারে অভিযুক্ত এসআই আল মামুন জানান, অভিযানের বিষয়ে জানতে হলে ওসির সঙ্গে কথা বলতে হবে। আর সোহেলকে হাসপতালে নেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, সে অসুস্থ হয়ে পরায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে নাটোর সদর থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৪ জনকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। আর উচ্চ আদালতের নির্দশনা অনুযায়ী তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/৩ জুন ২০১৭/হিমেল