বিয়ের প্রলোভনে পড়ে গণধর্ষণের শিকার হলেও থানায় কোনো অভিযোগ করেননি তরুণী (১৯)। গর্ভবতী হয়ে পড়ার পর প্রেমিক সোহেল (২৫)কে বারবার বিয়ের তাগিদ দিলেও সেখান থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে স্বাভাবিক নিয়মে সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে লোকলজ্জার ভয়ে তাকে হত্যা করেন। সম্প্রতি এ ঘটনায় ওই তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ময়মনসিংহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ মোল্লা বলেন, গণধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ওই মেয়ে তখন থানায় এসে মামলা দায়ের করলে বিষয়টি এত দূর গড়াতো না। নবজাতক খুনের সূত্র ধরেই কিছুদিন আগে বিষয়টি স্থানীয় থানার নজরে আসে। ধর্ষণের মামলা হয়। গ্রেপ্তারের পর অন্যতম ধর্ষক মইনুল ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
রাজধানীর রমনা থানার বেইলি রোডের এক ফ্ল্যাটে কাজ করতেন ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার ওই তরুণী। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ময়মনসিংহে নিয়ে তাকে পাশ্ববর্তী গ্রামের সোহেল ধর্ষণ করে। একই সময়ে হামিদুল (৩৫), মইনুল (২০), আলী হোসেন (৫০) এবং দুলু নামের কয়েক ব্যক্তিও ওই তরুণীকে ধর্ষনণ করে। গত ২ মার্চ সন্তানের জন্ম দেয়ার পর তাকে হত্যা করেন ওই তরুণী। গত ৫ মার্চ নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাজধানীর রমনা থানায় হত্যা ও ময়মনসিংহের ফুলপুর থানায় দায়ের হওয়া ধর্ষণ মামলার তদন্ত চলছে।
সূত্র : মানবজমিন
বিডি প্রতিদিন/৫ জুন, ২০১৭/ফারজানা