চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের গৃহবধূ লাবনী খাতুনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাতে তার স্বামীর বাড়ির লোকজন প্রচার করে লাবনী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
তবে লাবনী আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে তা নিয়ে এলাকাবাসি ও পুলিশের সন্দেহ রয়েছে। সন্দেহ থাকায় পুলিশ সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, রবিবার রাত আটটার দিকে লাবনীর স্বামীর বাড়ির লোকজন প্রচার করে, লাবনী ওড়না দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়। সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়না তদন্তের পর লাবনীর পিতা তার মেয়ের লাশ জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়ায় নিজ গ্রামে নিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রজ্জু করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এস আই সানজিদ আহমেদ জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মিনাল মন্ডলের ছেলে মোহাম্মদ বাবুর সাথে তিন বছর আগে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের করম আলীর মেয়ে লাবনী খাতুনের বিয়ে হয়। স্বামীর সাথে লাবনীর মনোমালিণ্যের অভিযোগ কেউ করেনি। তবে স্বামীর পরিবারের অন্যান্যদের সাথে লাবনীর খুব বেশি বনিবনা ছিল না।
এস আই সানজিদ আহমেদ আরো জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর এ ব্যাপারে পরবর্তি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৫ জুন, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-২৩