বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়ার এক স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে ওই স্কুলছাত্রী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলেও দাবি করেছে তার পরিবার।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর বড় বোন বাদি হয়ে অভিযুক্ত আলামিন হাওলাদারসহ ২ জনকে আসামি করে গত রবিবার রাতে গৌরনদী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সোমবার সকালে ওই ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার জন্য তাকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ফিরোজ কবির।
ওসি জানান, উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের পূর্ব বেজহার গ্রামের সৌদি প্রবাসী বাবুল হাওলাদারের বখাটে পুত্র আলামিন হাওলাদার ৫/৬ মাস পূর্বে ওই ছাত্রীকে স্কুলে আসা যাওয়া পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। তখন স্কুলছাত্রীর মা ও বড়বোন বিষয়টি বখাটে আলামিনের অভিভাবকদের জানায়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আলামিন তার সহযোগীকে নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিবেশী স্কুলছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবননাশের হুমকি দেয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় স্কুলছাত্রী আলআমিনের বাড়ির ওপর দিয়ে টিউবওয়েলের পানি আনতে যাবার সময় আলামিন তার হাত থেকে পানির কলসি ফেলে দেয়। এ সময় তার ঘরে কোন লোক না থাকার সুযোগে বখাটে আলামিন স্কুলছাত্রীকে টেনে ঘরের মধ্যে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে ৮ মার্চ বিকেলে বখাটে আলামিন একইভাবে হত্যার ভয় দেখিয়ে আবারও প্রতিবেশী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। লোক লজ্জায় ধর্ষণের বিষয়টি স্কুলছাত্রী কাউকে বলেননি। গত ৩১ মে ওই ছাত্রীর পেটে ব্যথা শুরু হলে বাদিনী তার বোনকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়ে জানতে পারেন তার বোন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। একাধিকবার ধর্ষণের ফলে স্কুলছাত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এরপর ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হয়।
পরে ওই ছাত্রীর বড় বোন বাদি হয়ে ধর্ষক আলামিন ও তার সহযোগী মহিউদ্দিন ওরফে মহিম হাওলাদারকে আসামি করে গত রবিবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে ওসি ফিরোজ কবির জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ৫ জুন, ২০১৭/ ই জাহান