নওগাঁর মান্দা উপজেলার চৌবাড়ীয়াহাট এলাকায় নিয়ামতপুর থানা পুলিশের গুলিতে সুজন হোসেন (৪০) ও মোজাম্মেল হক (৪৫) নামে দুই ডাকাত নিহত হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। একই সময় ইমরান ও সোহেল নামে দুই ডাকাত আহত হয়েছে বলে দাবি তাদের। আহতদেরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত মোজাম্মেল হকের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোলে আর সুজনের বাড়ি রাজশাহীতে। আর অপর আহত ইমরানের বাড়ি নাচোলে ও সোহেলের বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুরে।
নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিয়ামতপুর থানা পুলিশ জানতে পারে ট্রাকসহ ১০/১২জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল মান্দা থানা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে গ্রেফতার করতে নিয়ামতপুর থানা পুলিশ মান্দা থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে যৌথ অভিযানে নামে। রাত ১২টার পর মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ডাকাত দলের পিছনে ধাওয়া করে। ডাকাত দল ট্রাক নিয়ে মান্দার চৌবাড়ীয়াহাটের দিকে যাচ্ছে এমন খবর ওয়্যারলেসে দেয়া হয় নিয়ামতপুুর থানা পুলিশকে। নিয়ামতপুর থানা পুলিশ ওয়্যারলেসে ম্যাসেজ পাওয়ার পর মান্দা উপজেলার চৌবাড়ীয়াহাট এলাকায় প্রধান সড়কে ব্যারিকেট দেয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ট্রাক দিয়ে পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙ্গে ও পুলিশের উপর গুলিবর্ষণ করে পালানোর চেষ্টা করলে নিয়ামতপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের টিম ডাকাত দলকে লক্ষ্য করে পিস্তল ও শর্টগানের ১৬ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই ডাকাত সুজন হোসেন ও ডাকাত মোজাম্মেল হক নিহত হয়। একই সময় আরো দুই ডাকাতকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোলাগুলির সময় অন্য ডাকাতরা ট্রাক ফেলে পালিয়ে যায়।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিছুর রহমান জানান, নিহত ডাকাত সুজন হোসেনের বিরুদ্ধে নওগাঁর নিয়ামতপুর, মান্দা, মহাদেবপুর, রাজশাহীর তানোরসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা ও ডাকাতিসহ কমপক্ষে ২০টি মামলা রয়েছে। নিহত ডাকাত মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতির অভিযোগে ৩টি করে মামলা রয়েছে। আর এ ঘটনায় মান্দা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার