বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় মুঠোফোনে প্রেম করে বিয়ের দাবিতে তিন দিন ধরে কলেজছাত্রী তহমিনা আক্তারের অনশন করার পর সফল হলেন। গত বুধবার রাতে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে তহমিনা ও ফারুক হোসেনের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
জানা যায়, মুঠোফোনে প্রেমের সূত্রধরে রবিবার বিকেলে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাশজানি গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে ও ভুরুঙ্গামারি ডিগ্রি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তহমিনা আক্তার (২০) বগুড়ায় আসেন। এরপর সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের নওদাবগা গ্রামের প্রেমিক ইয়াছিন আলীর ছেলে ও বগুড়া আজিজুল হক কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র ফারুক হোসেন (২২) এর বাড়িতে ওঠে। সেখানে বিয়ের দাবীতে অনশন শুরু করে। পরের দিন সোমবার সোনাতলা থানার পুলিশ বিষয়টি জানার পর দু’পক্ষকে মঙ্গলবার থানায় ডেকে নিয়ে আলোচনা করেন। পরে প্রেমিক ফারুকের পরিবার বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে থানা থেকে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর বুধবার রাতে স্থানীয় ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ৫০ হাজার টাকা মোহরানায় বিয়ে সম্পন্ন হয়।
কলেজ ছাত্রী তহমিনা আক্তার বলেন, বিয়ে হওয়ায় তিনি খুশি।
বিয়ের রেজিষ্টার (কাজী) আব্দুল হান্নান মুন্সী বলেন, ৫০ হাজার টাকা মোহরানায় কাবিন করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়েছে।
বগুড়ার সোনাতলা থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, মোবাইল ফোনে তাদের প্রেম ছিল। দু'জনই প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের অভিভাবকদের ডেকে আলোচনা করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার