বান্দরবানের লামায় জনস্বার্থে কথা বলতে গিয়ে অবৈধ স'মিল মালিক কর্তৃক এক ইউপি মেম্বার লাঞ্ছিত হয়েছেন। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাপেরঘারা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় লাঞ্ছিত ইউপি মেম্বার মোঃ নাছির উদ্দিন চিকিৎসা শেষে নিজে বাদী হয়ে লামা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ইউনিয়নের দূর্গম ১নং ওয়ার্ড সাপেরঘারা এলাকায় মোঃ মনুর আলম ও তার ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারী রাস্তা অবৈধ দখল করে বাড়ির বর্জ্য ও ব্যবহৃত পানির স্তুপ করে রাখে। এতে সাপেরঘারা রোডটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ওই স্থানে বিশাল গর্ত হওয়ায় প্রায় সময় রাস্তার চলাচলকৃত যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিষয়টি প্রতিকার চেয়ে স্থানীয়রা ইউপি মেম্বার নাছির উদ্দিনকে বলেন। ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে ৬ মে মঙ্গলবার বিকেলে শ্রমিক নিয়ে রাস্তাটি পরিষ্কার করে দিতে গেলে মোঃ মনুর আলম ও তার ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে মেম্বারের তার উপর হামলা চালায়। এসময় তারা কোদাল দিয়ে মেম্বারকে আঘাত করে। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মেম্বারকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী ডুলহাজারা বাজারে নিয়ে চিকিৎসা করে।
প্রত্যেক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, মোঃ মনুর আলম ও তার ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর সাপেরঘারা এলাকায় গহীন জঙ্গলে অবৈধ স'মিল চালায়। এই বিষয়ে মেম্বার কথা বলায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার নাছির মেম্বারকে হামলা করে আহত করেছে। বর্তমানে তারা পলাতক রয়েছে।
ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। লামা থানায় মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি আইনিভাবে মোকাবেলা করা হবে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান বলেন, আসামিদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে মামলার ২ নাম্বার আসামি মোঃ মনুর আলমকে আটক করেছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/৯ জুন ২০১৭/হিমেল