বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে স্বর্ণ পোড়ানোর সালফিউরিক এসিড পান করে স্বজল দাস (২৫) নামে এক জুয়েলার্স কারিগর আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে গৌরনদী উপজেলার টরকী গ্রামের নারায়ন চন্দ্র দাসের ছেলে। স্বজল ৪-৫ বছর ধরে মোরেলগঞ্জের বিভিন্ন জুয়েলার্সের দোকানে অলংকার তৈরীর কারিগর হিসেবে কাজ করতেন।
জানা যায়, একমাস পূর্বে ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে মনিকাঞ্চন জুয়েলার্সে কাজ নেয় স্বজল। শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে সে কারখানায় বসে এসিড পান করে। খবর পেয়ে জুয়েলার্সের মালিক অসিম কর্মকার তাকে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। বেলা ১২টার দিকে স্বজল দাসের মৃতদেহ একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে তার স্বজনরা গৌরনদীতে নিয়ে যায় বলে অসিম কর্মকার জানান। তবে কি কারণে স্বজল এসিড পান করেছে তা জানা যায়নি।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. রাশেদুল আলম বলেন, এসিড নিয়ন্ত্রণে না রাখার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিয়ম অনুযায়ী খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় অপমৃত্যু মামলা হবে। তবে সোনাডাঙ্গা থানার ডিউটি অফিসার এসআই উজ্জল জানান, স্বজল দাসের অপমৃত্যু সংক্রান্ত কোন তথ্য ওই থানায় কেউ জানায়নি।
বিডি প্রতিদিন/৯ জুন ২০১৭/হিমেল