মুন্সীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া গুলি ও বোমার আঘাতে আরো ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টার দিকে জেলা সদরের চরাঞ্চলের চরমশুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মো: মাসদু (২২) এবং গুলিতে আহতরা হলেন, তারিদ (২৫) ও ইরফান এবং বোমায় আহত হয়েছে সাইফুল (২৫) নামের অপর যুবক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ইউপি নির্বাচনে চরমশুরা গ্রামের মন্টু বাহিনি এবং রহিম বাহিনির মধ্যে বিরোধ বাধে। তারা দুজনই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা। এরমধ্যে একজন আফসু চেয়ারম্যন গ্রুপের এবং অপর জন জীবন চেয়ারম্যান গ্রুপের লোক। দুই বাহিনীর বিরোধ নিয়ে মামলা হলে সেই মামলায় মন্টু বাহিনির লোকজন আদালত থেকে জামিনে এসে শনিবার সকালে রহিম বাহিনির উপর চড়াও হয়। এতে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় মাসুদ, তারিদ ও ইরফান এবং বোমায় আহত হয় সাইফুল। পরে মারাত্মক আহত অবস্থায় তাদেরকে মুনঈগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে মাসুদকে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ দিকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসার হোসেন ভূইয়া আফসু বলেছেন, মন্টু দেওয়ান বা রহিম কেউ তার লোক নয়। তিনি আরো জানান, মন্টু এর আগে বিএনপি দলের লোক ছিল কিছুদিন হলো মাত্র সে আওয়ামী লীগে যোগদান করলেও দলে তার তেমন কোন অবস্থান নেই।
এ ঘটনার সত্যতা জানিয়ে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ ঐ এলাকায় আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু গ্রুপের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। দুদিন আগে মন্টু গ্রুপের লোকজন আদালত থেকে জামিনে আসে এবং শনিবার আবারও গোলমাল করে। বর্তমানে অবস্থা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে এবং শান্ত আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সদর থানার ওসি মো: ইউনুচ আলি জানান এ বিষয়ে সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ রয়েছে। আর কোন প্রকার বিশৃংখলার সুযোগ নাই।
বিডি প্রতিদিন/১০ জুন ২০১৭/হিমেল