নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদসহ ৪ নেতার বিরুদ্ধে মারধর ও ২০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের মামলা করেছে মহানগর যুবদলের নেতা মঞ্জুর আলম মুসা। শুক্রবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এই মামলা রেকর্ড করা হয় বলে থানার ওসি নিশ্চিত করেছেন। মামলার বাদী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর ৮ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি এবং মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাকসুদুল আলম খোরশেদের সহযোগী।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, মামলা এবং ঘটনা সম্পর্কে আজ শনিবার সাংবাদিকদের কাছ থেকে জেনেছি। এছাড়া আমি কিছুই জানি না। এসব 'অপকৌশল' বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে কোন লাভ হবে না। অপরদিকে মামলার অপর আসামি ৮ নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক হারুন-অর রশীদ বলেন, আমাদের অপরাধ জিয়াউর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাক্তিগত উদ্দ্যেগে গত ২ জুন ওই ওয়ার্ডে আলোচনা সভা ও ইফতারের আয়োজন করেছি। সেখানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ প্রধান অতিথি ছিলেন। ওই ইফতারের ৪৫ মিনিট পরে থানা যবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমাকে ও নূর আলমকে ( এই মামলার আসামি) যুবদল থেকে বহিষ্কার করে প্রেস রিলিজ দেয়। এর দুই দিন পর এই মামলার বাদী লোকজন নিয়ে এসে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। এলাকাবাসীর ধাওয়া খেয়ে ওরা চলে যায়। বিষয়টি লিখিত ভাবে আমরা থানাকে জানিয়েছি। কিন্তু এখন দেখলাম উল্টো আমাদের নামে মামলা। জিয়াউর রহমানের শাহদাত বার্ষিকীতে মিলাদ পরানো যদি অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে মৃত্যু পর্যন্ত এমন অপরাধ করতে রাজি আছি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
