মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বরাদ্দের চেয়ে অতিরিক্ত জায়গা ভূমিদস্যুতার মাধ্যমে অবৈধ্য ভাবে দখলসহ সরকারি গাছ কেটে সেখানে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে নাভানা এলপিজি’র কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি বিভাগ জানায়, বন্দরের দিগরাজ শিল্প এলাকায় নাভানা এলপিজিকে বন্দর কর্র্তৃপক্ষ ১৬ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৮ মিটার প্রস্থের জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু তারা বরাদ্দের অতিরিক্তি আরো প্রায় ৪ মিটার জমি অনুমতি ছাড়া ভূমিদস্যুতার মাধ্যমে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে। এছাড়া ওই কোম্পানীটি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই গায়ের জোরে মোংলা বন্দর শিল্প এলাকার মহাসড়কের পাশে থাকা বন্দর কর্তৃপক্ষের বড়-বড় গাছ কেটে নষ্ট করে ফেলে। এলপিজি প্লান্টের একের পর এক অন্যায়ের বিষয়টি জানার পর নাভানার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর কর্তৃপক্ষের ভূমি বরাদ্দ নীতিমালা উপেক্ষা করায় এবং গাছ কেটে ফেলায় নাভানা এলপিজি কোম্পানীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি বিভাগ নিশ্চিত করেছে।
এদিকে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করে দেয়ায় পর সমস্যা সমাধানে নাভানা এলপিজির প্লান্টের টার্মিনাল ম্যানেজার মো. জুবায়ের বন্দরের উর্ধতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। তবে, এ বিষয়ে নাভানা এলপিজির প্লান্টের টার্মিনাল ম্যানেজার সংবাদকর্মীদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান বলেন, শুধু নাভানা এলপিজি নয,- যারাই মোংলা বন্দরের জমি বরাদ্দ নিয়েছেন তারাই নিয়ম নীতি অমান্য করে কম বেশি ভূমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এবিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারী থাকায় অবৈধ দখলে থাকা সব ভূমি উদ্ধারসহ তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার