বাগেরহাটের কচুয়ায় মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করে ম্যানেজিং কমিটি গঠনসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
কচুয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের বর্তমান সভাপতি ফরিদা আক্তার বানু জানান, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌতম গোপাল সাহা নিজে প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য ও অন্যান্য শিক্ষক নিযোগ বানিজ্যে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতে সাবেক এমপি ও স্কুল পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মীর সাখাওয়াত আলী দারুর স্বাক্ষর জাল করে পরিচালনা পরিষদের নতুন কমিটি গঠন করেন।
এ ঘটনায় সাবেক এমপি মীর সাখাওয়াত আলী দারুর স্ত্রী ও স্কুল পরিচালনা পরিষদের বর্তমান সভাপতি ফরিদা আক্তার বানু যশোর মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এমনকি বাগেরহাট আদালতে একটি মামলাও দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণে দাবি করা হয়েছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌতম গোপাল সাহা এর আগে বিভিন্ন সময়ে একাধিক শিক্ষক ও কর্মচারীর স্বাক্ষর জাল করে বিদ্যালয়ে নানা দুর্নীতিসহ বিভিন্ন খাত থেকে বিপুল অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া বিদ্যালয় ছুটির পর ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানোর অজুহাতে তাদের শ্লীলতাহানিসহ মহিলা শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। এসব ঘটনার শিকার একাধিক ছাত্রী ও শিক্ষকরা সভাপতি বরাবর অভিযোগ করেছেন। এসব কারণে সভাপতি বিদ্যালয়ের স্বার্থে একজন মহিলা প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এই খবর জানার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌতম সাহা স্কুলের সভাপতিকে না জানিয়ে গোপনে তাদের স্বাক্ষর জাল করে একটি পকেট কমিটি গঠন করেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌতম গোপাল সাহা বলেন, একটি মহল আমার সুনাম নষ্ট করতে পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ দাড় করিয়েছে।
বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জাকিরুল হক বোর্ডের নির্দেশে গত সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত এসব অভিযোগ তদন্তে বিদ্যালয়ে আসেন। এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার সাংবাদিকদের বলেন, যশোর বোর্ডের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত শেষ হলে আপনাদের এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/১১ জুলাই ২০১৭/হিমেল